গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলে আচমকাই হামলা চালিয়েছিল হামাস। এরপর থেকে জবাবি হামলায় গাজাকে ধ্বংসস্তূপ🐠ে পরিণত করেছে ইজরায়েল। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন উভয় দেশের পাশে দাঁড়ানোরই বার্তা দিয়েছিল ভারত। তবে প্রকৃতপক্ষে ইজরায়েলের দিকেই বেশি ঝুঁকে ভারত। হামাসের হামলাকে 'জঙ্গি হামলা' বলে আখ্যা দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই আবহে সম্প্রতি আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেও ইজরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছে ভারত। আর এসবের মাঝেই ভারতে নিযুক্ত প্যালেস্তাইনের দূত আদনান আবু আলহাইজা বললেন, 'ভারতের থেকে প্যালেস্তাইন কোনও কিছুই প্রত্যাশা করছে না'। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্যালেস্তাইনের দূতের স্পষ্ট বক্তব্য, 'ভারত-আমেরিকা ২+২ বৈঠকের পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতি আমরা দেখেছি। তারা ইজরায়েলকেই সমর্থন করছে। আমি ভারত সরক🍃ারকে অনেকবার ফোন করেছি। তবে তারা কিছুই করছেন না।'
এদিকে ইজ💟রায়েলের হামলার মাঝেই গাজার সবথেকে বড় হাসপাতাল 'আল-শিফা'য় আটকে রয়েছে বহু চিকিৎসক, নার্স, রোগী। সেখানে নেই কোনও অক্সিজেন বা বিদ্যুৎ। এই পরিস্থিতিতে গত তিনদিনে সেই হাসপাতালের তিনজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান প্যালেস্তাইনের দূত। মৃতদের মধ্যে তিনজন সদ্যোজাত শিশুও রয়েছে বলে জানান তিনি। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত সোমবার তিনি তেল আভিভকে ফোন করে বার্তা দেন যাতে নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা হয়। এদিকে ইজরায়েলের অভিযোগ, সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস সেই হাসপাতাল এবং সেখানকার রোগীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
এর আগে গাজায় ইজরায়েলি হামলা রোখার প্রস্তাব পেশ হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘে। সেই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছিল ভারত। পরবর্তীতে ভারতের তরফে বলা হয়েছিল, হামাসের হামলার নিন্দা জানানো হয়নি সেই প্রস্তাবে। তাই তারা সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি। পরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছিলেন, 'সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের অবস্থান সব ক্ষেত্রে একই হওয়া প্রয়োজন।' এই সবের মাঝেই গাজায় যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলি হামলায় ১১ হাজার ১০০ জন প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে গাজায়। তার মধ্যে ৪,৬০৯ জন শিশু। এদিকে 'দ্𝔍য টাইমস অফ ইজরায়েল'-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৪৬ জন ইজরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে। এই যুদ্ধ চলাকালীন এখনও পর্যন্ত ৪২ জন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। এই সবের মাঝেও যুদ্ধ বিরতিতে যেতে নারাজ ইজরায়েল।