কদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রকের অধীনস্থ ২৪টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নামের তা🔯লিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সেটা প্রকাশ করে তারা বোঝাত🐓ে চেয়েছিল, সব বিরোধী দলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ২৪টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মধ্যে মাত্র দু’টি কমিটির চেয়ারপার্সন মহিলা। এটা নিয়ে উঠে গিয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। বাণিজ্য মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির চেয়ারপার্সন পদে আছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। আর খাদ্য ও গণবণ্টনের চেয়ারপার্সন হয়েছেন ডিএমকের কানিমোঝি করুণানিধি। সুতরাং মহিলা সংখ্যা অত্যন্ত কম। যা নিয়ে এবার মোদীর সরকারের সমালোচনা করলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।
বিজেপি🅰 মহিলাদের উঁচু পদ দেয় না এবং পিছিয়ে রাখে বলে বারবার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী বিজেপির কোনও মহিলা সাংসদকে কোনও স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়নি। অথচ বিজেপির হাতেই রয়েছে ১১টি সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি। এবার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে মোদী সরকারকে বিঁধলেন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি মুখে বড় কথা বললেও নারীশক্তির বিকাশের জন্য কোনও সদর্থক পদক্ষেপ কখনও করেনি। নিজেদের হাতে থাকা সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলির একটিতেও মহিলা চেয়ারপার্সন করেনি। বিজেপির বিরুদ্ধেও এবার এই ইস্যুতে সুর সপ্তমে চড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক।
আরও পড়ুন: ইয়েচুরির পদ খালি রেখে কো–অর্ডিনেটর হলেন কারাত, সাধারণ সম্পাদক কবে মিলবে?
এই বিষয়টি নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তুমুল সমালোচনা করেছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার শেষ হয়েছে। ২৪টি সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সনদের নাম ঠিক করা হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র দু’টিতে মহিলাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকে প্রতিশ্রুতি পালন করেছে। বাকিরা? তারা শুধু কথাই বলে।’ সম্প্রতি লোকসভায় বিজেপি মহিলা ক্ষমতায়ন বিল এনেছে। কিন্তু তারপরও মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়েনি কোথাও। বিজেপির এই কাজ নিয়ে অনেকদিন ধরেই সমালোচনা করে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের 💦নেতারা। ১১টি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপার্সন নির্বাচন করেছে বিজেপি। কিন্তু দলের একজন মহিলা সাংসদকে সেই চেয়ারে বসানো হয়নি।
ডেরেক ও’ব্রায়েন এই প্রশ্ন তুলে দেওয়ায় এবার বিজেপির অন্দরেও তা নিয়ে অনেকে আলোচনা করেছেন। কেন এমন করা হল? সেটা কেউ বুঝতে পারছেন না। মহিলাদের🌼 কথা মুখে বলা হলেও সেটা কাজে প্রতিফলিত না হওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বের। এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পাল্টা কটাক্ষ করেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস যদি এতই নারীশক্তির পক্ষে হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর দলের উত্তরসূরী কোনও মহিলাকেই করা হোক।’