ঘোষণার ভুলে ট্রেন পেলেন না যাত্রীরা। সিনেমার গল্পকথা নয়, ঠিক এমনই ঘটল কর্ণাটকের গুলবর্গা রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রীদের ক্ষেত্রে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সকালে কালবুর্গী রেলওয়ে স্টেশনে হুবলি-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢুকলেও তা ধরতে পারলেন না যাত্রীরা, কিন্তু কেন এই বিপত্তি? রেলের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, রেল কর্তৃপক্ষের ঘোষণার ভুলেই এমন অঘটন ঘটে'।যাত্রীদের মতে, হুবলি-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেসের কালবুর্গী রেলওয়ে স্টেশনে সকাল ৫টা বেজে ৫৭ মিনিটে পৌঁছানোর কথা ছিল এবং তিন মিনিট পর সকাল ৬:০০ টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ট্রেনটি ৩২ মিনিট দেরিতে আসে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এলইডি স্ক্রিন ডিসপ্লের মাধ্যমে তা জানিয়েও দেয় যাত্রীদের। সেই মত যাত্রীরা ১ নং প্ল্যাটফর্মের করিডোরে অপেক্ষা করছিলেন, কিন্তু ট্রেনটি ১ নং প্ল্যাটফর্মে না এসে অন্য একটি প্ল্যাটফর্মে আসে এবং কয়েক মিনিট থামার পরে সেকেন্দ্রাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। এদিকে ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীরা জানতে পারেননি কখন ট্রেনটি এসেছে এবং ছেড়ে গেছে। রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে প্রত্যেক যাত্রী ট্রেনটি মিস করে।সূত্রের খবর, ট্রেনটি সকাল ৬ টা ৩৫মিনিটে কালবুর্গী স্টেশনে পৌঁছেছিল এবং ৬ টা ৪৪ মিনিটে ছেড়ে যায়। এই ঘটনার পর কিছু যাত্রী স্টেশন ম্যানেজারের সাথে দেখা করে এবং রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য বিরক্তি প্রকাশ করেন। রেল স্টেশনটির ম্যানেজার ভুল স্বীকার করে নেন। আগামীতে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। এরপর তিনি হুসেন সাগর এক্সপ্রেসে আগের ট্রেনে যাত্রীদের সেকেন্দ্রাবাদে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।আপাত ভাবে সমস্যা সমাধান হলেও আরও গোলোযোগ অপেক্ষা করছিল যাত্রীদের জন্য। হুসেন সাগর এক্সপ্রেসে চেপে ছাত্রীরা সেকেন্দ্রাবাদে পৌঁছানোর বদলে হায়দ্রাবাদ ডেকানে পৌঁছায় বিকেল নাগাদ। যাত্রীরা আরও অভিযোগ করেন, তাদের অগ্রিম টিকিট থাকা সত্ত্বেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হয় যাত্রীদের। যাত্রীরা আরও বলেন চার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার জন্য হায়দ্রাবাদ ডেকান থেকে সেকেন্দ্রাবাদে পৌঁছানোর জন্য তাদের আবার বাসভাড়া করে যেতে হয়। এই প্রসঙ্গে সেন্ট্রাল রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক শিবরাজ মানসপুরের আশ্বস্ত করেন রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। কিন্তু, এমন ঘটনায় আবারও প্রশ্নের মুখের রেলের আভ্যন্তরীণ বোঝাপড়ার খামতি ও পরিষেবা। ভারতের গণপরিবহন ব্যবস্থার ভিত্তি রেল ব্যবস্থাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে সরকার ও রেল মন্ত্রক কী পদক্ষেপ নেয়, এখন সেটাই দেখার।