মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবা চালু করতেই যাত্রীর ভিড়ে উপচে পড়ল রেল স্টেশনগুলি। রেল মন্ত্রকের দাবি, রেল সফর শুরুর আগে স্টেশনে কঠোর ভাবে পালিত হয়েছে সরকার নির্দেশিত করোনা নিরোধক বিধি।দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের মধ্যেই সোমবার থেকে চালু হয়ে গেল দেশের যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। রেল মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে মাস্ক মুখে, সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন করে এ দিন সকাল থেকে স্টেশনে যাত্রী সমাগম হয় দেখার মতো। প্রবেশ ও প্রস্থানপথের সামনে দেখা যায় বিশাল লম্বা লাইন।রেলস্টেশনে গোলমাল এড়াতে রবিবারই নোটিশ জারি করে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন, দিল্লি জংশন ও নয়া দিল্লি রেলস্টেশনে ঢোকা ও বেরোনোর আলাদা পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিল উত্তর রেলওয়ে। সেই নীতি পালন করার ফলে এ দিন স্টেশনে অবাঞ্ছিত জন সমাবেশ এড়ানো গিয়েছে বলে দাবি রেল কর্তৃপক্ষের।রেলের নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ‘যাত্রীদের সফরের জন্য বাড়ি থেকেই খাদ্য ও পানীয় জল নিয়ে আসার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রেলওয়ের তরফ থেকে কোনও রকম বেডরোল বা চাদর দেওয়া হবে না।’গত ২৩ মার্চ করোনা সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী লকডাউন জারি করা হলে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল ভারতীয় রেল। পরে, গত ১ মে থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর উদ্দেশ্যে চালু করা হয় বিশেষ শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন। ১২ মে থেকে শুরু হয় বাতানুকূল রেল পরিষেবা। এই পর্যায়ে ১২ জোড়া বাতানুকূল ট্রেন চালানো শুরু হয়। এ দিন থেকে চালু হল আন্তঃরাজ্য যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। এই পর্যায়ে প্রথম দফায় চালু করা হল ২০০টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন।