সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কে আপাতত নতুন করে কোনও অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না। এই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর আরও একটি বিতর্কে জড়াল পেটিএম। সম্প্রতি ব্লুমবার্গ নিজেদের একটি রিপোর্টে দাবি করেছিল যে পেটিএম তাদের গ্রাহকদের তথ্য চিনে পাচার করছে। এই অভিযোগের পরই তোলপা🐷ড় শুরু হয় বাণিজ্য মহলে। পাশাপাশি গ্রাহকদের মধ্যেও চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে বলে দাবি করল পেটিএম।
উল্লেখ্য পেটিএস পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সঙ্গে পরোক্ষ ভাবে যুক্ত একটি চিনা সংস্থা। এই আবহে অভিযোগ উঠেছে, ভারতীয় গ্রাহকদের তথ্য নাকি হাতবদল হয়ে চিনে পৌঁছে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এই অভিযোগ উঠতেই সংস্থার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘সাম🔯্প্রতিক ব্লুমবার্গ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে চিনা সংস্থাগুলির কাছে ডেটা ফাঁস করছে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং চাঞ্চ🐻ল্য ছড়াতেই এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে। পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক সম্পূর্ণরূপে স্বদেশী ব্যাঙ্ক হিসাবে গর্বিত এবং ডেটা স্থানীয়করণে আরবিআই-এর নির্দেশাবলীর সাথে সম্পূর্ণরূপে সম্মত। ব্যাঙ্কের সমস্ত তথ্য দেশের মধ্যেই থাকে। আ্মরা ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সত্যিকারের বিশ্বাসী, এবং দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি চালাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে শনিবার পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছিল, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ মেনে চলার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করছে তারা। এর আগে এক নির্দেশে, কোম্পানিকে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আরিবআই। এরপরই এক বিবৃতি জারি করে পেটিএম-এর তরফে বলা হয়, ‘আমরা আরবিআই-এর নির্দেশ মেনে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিচ্ছি। PPBL নিয়ন্ত্রকের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে। যাতে আরবিআই-এর উদ্বেগ যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করা যায় তার জন্য কাজ করব আমরা। আরবিআই-এর অনুমোদন পাওয়ার পর আমরা যখন ফের নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা শুরু করব তখন আমরা তা গ্রাহকদের জানিয়ে দ♐েব।’