১০ বছরেই আমূল বদলে গেল ছবিটা! সালটা ছিল ২০১৪। জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে চূড়ান্👍ত সফল হয়েছে উপত্যকার পিপল'স ডেমোক্রেটিক পা꧂র্টি (পিডিপি)।
এরপর, পিডিপির সঙ্গে এবং পিডিপির নেতৃত্বে জম্মু-কাশ্মীরে জোট বেঁধে সরকার গঠন করে বিজেপি। সে🅠ই সরকারের মেয়াদ ছিল ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এরপর, বর্তমানে, অর্থাৎ ২০২৪ সাল🌠ে, ১০ বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে ফের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
হিসাব ও তথ্য বলছে, এবারের নির্বাচনে পিডিপির ফলাফল শোচনীয়। শুধু তাই নয়, পরিসংখ্যান অনুসারে, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ গত ২৫ বছরে জম্মু-কাশ্মীর🌺ের নির্বাচনে সবথেকে খারাপ ফল করে𒅌ছে মেহবুবা মুফতির দল।
১৯৯৯ সালে পিডিপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন 🔥জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদ। এর মাত্র তিনবছর পর, প্রথবারের জন্য জম্মু-কাশ্মীরে সরকার গঠন করে তারা। সহায়তা করে কংগ্র🐻েস।
বর্তমানে সেই দলের অবস্থা যে চূড়ান্ত শোচ🐷নীয়, তার আভাস গত গ্রীষ্মেই পাওয়া গিয়েছিল। কারণ, ♛এবারের লোকসভা নির্বাচনেও পিডিপি কোনও আসনে জয়লাভ করতে পারেনি। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও এরবার নির্বাচনী লড়াইয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল তারা।
মঙ্গলবার ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর দেখা যায়, পিডিপি মাত্র মাত্র দু'টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে তাদের চির-প্রꩲতিদ্বন্দ্বী ন্য়াশনাল কনফারেন্স (এনসি) এগিয়ে ছিল মোট ৯০টির𒁃 মধ্যে ৪২টি আসনে।
এখনও পর্যন্ত যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে অনুমান করা হচ্ছে, ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের 'স্পেশাল স্টেটাস' খারিজ হওয়ার পর যে প্রথম সরকার উপত্যকায় গঠিত হতে চলেছে, তা গঠন করতে চলেছে এনসি-কং🌼গ্রেসের জোট।
কা✤রণ, এখনও পর্যন্ত এই জোট এগিয়ে রয়েছে ৫২টি আসনে। যেখানেꦅ প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি এগিয়ে রয়েছে মাত্র ২৭টি আসনে।
শুধু তাই নয়, এবারের নির্বাচনী ফলাফল বলছে, এত 🌜দিন যে বিজবেহারা কেন্দ্রকে পিডিপির শক্ত ঘাঁটি, বিশেষ করে মুফতি পরিবারের গড় বলে মনে করা হত, এবার সেখানকার জনগণও মেহবুবার দলকে হতাশ করেছেন।
এবারের নির্বাচনে এই আসনে লড়াইয়ে নেমেছিল𓂃েন মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা মুফতি। কিন্তু, তিনি হেরে যান। ইলতিজা ইতিমধ্যেই জান𓄧িয়েছেন, তিনি এই জনাদেশ মাথা পেতে নিচ্ছেন।
উ🐬ল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে পিডিপি যে শুধুমাত্র একটি আসনও জয় করতে পারেনি, তাই নয়। তাদের ভোট শেয়ার ছিল মাত্র ৮.৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে, কাশ্মীর উপত্যকার তিনটি আসনের মধ্যে এনসি জিতেছিল দু'টি আসনে। তাদের ভোট শেয়ার ছিল, ২২.২ শতাংশ। অনন্তনাগ-রাজৌরি লোকসভা আসনে মেহবুবা মুফতি নিজে পরাজি🔯ত হয়েছিলেন প্রায় ১ লক্ষ ৮১ হাজার ভোটের ব্যবধানে।
তথ্য বলছে, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পিডিপির লড়াই আরও কঠিন করে দিয়েছিলেন জামাত-ই-ইসা♓লামির ম🥀দতপুষ্ট নির্দল প্রার্থীরা। যে দক্ষিণ কাশ্মীরে এত দিন পর্যন্ত পিডিপির ভালো ভোট ব্যাংক ছিল, সেখানেই পিডিপিকে কড়া টক্কর দেন এই নির্দল প্রার্থীরা।
২০১৯ সালে জামাত-ই-ইসলামিকে ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সূত্রের দাবি, আগে এই সংগঠন আড়ালে থেকে প✨িডিপিকে সমর্থন করত💖।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ২০১৬ সাল থেকেই পিডিপির ভোট ব্যাংকে ধস নামতে শুরু করে। ဣসেই সময় জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপি ও বিজেপির জোট সরকার ছিল। হিজবুল মুজাহিদীনের তরুণ জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর উপত্যকার বাসিন্দাদের একাংশ আন্দোলনে না♛মেন।
সেই ൩আন্দোলন দমাতে সরকারের তরফে যে দমন-পীড়ন শুরু করা হয় বলে অভিযোগ, তাতে অসংখ্য সাধারণ মানুষের প্রাণ যায়। তার ফলে পিডিপি-বিজেপ🦄ি জোটের জনভিত্তি ক্রমশ কমতে থাকে।
এরপর ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীর তার স্পেশাল স্টেট﷽াস ও রাজ্য়ের স্বীকৃতি হারায়। সেই সময় মাসের পর মাস জম্মু-কাশ্মীরের স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করা হয়।
এই পরিস্থিতির জন্য বিজেপির পাশাপাশি পিডিপিকেও দায়🎉ী করেন বহু মানুষ। কারণ, ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই দুই দলের জোট সরকার জম্মু-কাশ্মಞীরের প্রশাসনিক ক্ষমতায় ছিল।
এবারের নির্বাচনে পিডিপির শোচ🌜নীয় পরাজয় গত ১০ বছরের ঘটনা🦩ক্রমের ফলশ্রুতি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।