বেশ কিছুদিন ধরেই, রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করতে বলছে কেন্দ্র। দলে দলে 💜গ্রাহকেরা গিয়ে ভিড় জমিয়ে লিঙ্কও করছেন। ꦚকিন্তু শীর্ষ অর্থনীতিবিদদের একটি সার্ভে বলছে, ভারতের পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (পিডিএস), আধার বায়োমেট্রিক সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সত্ত্বেও, অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এখনও। এর ফলে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ অন্তত ২.৮ কোটি টন খাদ্যশস্য চুরি বা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর রিসার্চ অন ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক রিলেশন-এর একজন নেতৃস্থানীয় অর্থনীতিবিদ অশোক๊ গুলাটির একটি রিপোর্ট অন🍸ুসারে, ২০১৩ সালের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের আওতায়, ৮১.৩ কোটি গ্রাহকের জন্য বরাদ্দ প্রায় ২৮ শতাংশ শস্যদানা কখনই তাঁদের পরিবারগুলিতে পৌঁছোয় না৷
আরও পড়ুন: (ISRO-SpaceX Launch: এই প্রথম! ইলনܫ মাস্কের সংস্থার রকেটে চড়ে মহাকাশে পাড়ি ইস🧸রোর উপগ্রহের)
জাতীয় খাদ্যের ব্যবহার সম্পর্কিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই সার্ভে করা হয়েছিল। ২০১১ সালে জাতীয় নম🍌ুনা সমীক্ষার ডেটা দেখায় যে ভারত জুড়ে রেশন সরবরাহের প্রায় ৪১.৭ শতাংশের হিসাব মিলেছিল না। সেই তুলনায় এখন বলা হয়েছে, ২০১২-২০১৩ সাল থেকে কর্তৃপক্ষের দ্বারা উন্নত পর্যবেক্ষণের কারণে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (পিডিএস) কিছুটা হলেও স্বচ্ছ হয়েছে।
মূলত এই ৩ কারণে রেশনের হিসাব মেলে না
- অনেকসময় নিজ লাভের জন্য, দরিদ্রের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়, চুরি করে নেওয়া হয় রেশন।
- পরিবহনের সময়ও পণ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- আবার এই রেশন এমন লোকেদের কাছে পৌঁছে যায়, যাদের এই দেওয়ার কথাই নয়। কারণ আর্থিক কারণে হয়ত তাঁরা স্থিতিশীল।
গুলাটির দাবি, যদিও, ঠিক কতটা রেশন এইভাবে বেরিয়ে যাচ্ছে, তা নিশ্চিত করার জন্য, কোনও বার্ষিক ডেটা উপলব্ধ নেই। তবে, পরিবারের খরচের উপর এই জাতীয় সার্ভে প্রয়োজনীয় তথ্যের হদিশ দিয়ে দেয়। ২০২২ সালের অগস্ট থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত ভারতীয় খাদ্য কর্পোরেশনের মাসিক খাদ্যশস্য বিতরণের ডেটা দেখেছে কর্তৃপক্ষ। এর দরুণই, সেই খাদ্যশস্যের পরিমাণ অ🥃নুমান করতে পেরেছেন, যা যোগ্য পরিবারগুলিতেই পৌঁছোয়নি।
রেশন নিয়ে এই স্টাডি আরও একটি বড় সমস্যার দিক হাইলাইট করেছে। তাঁদের দাবি, অভাবী লোকদের জন্য বরাদ্দ ২৮ শতাংশ শস্য আসলে তাঁদের কাছেই পৌঁছোয় না। অথচ কেরালার দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা সমস্ত মানুষকে এক মাসের জন্য খাওয়ানোর জ෴ন্য এই পরিমাণ যথেষ্ট।
যদিও, দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি রিতিকা খেরা উল্লেখ করেছেন যে কিছু রাজ্য এই সমস্যা কমানোর জন্য নজরকাড়া উন্নতি করেছে। যেমন, বিহার তার শস্য লিকেজ ৯১ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশ, ছত্তিশগড় ৫২ থেকে ৯ শতাংশ এবং ওড়িশা ৭৬ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে কমিয়ে এনেছে। তিনি আরও বলেন যে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (পিডিএস) এখন অনেক ভালো কাজ করছে। যাদের সবচেয়ে বেশ🌟ি প্রয়োজন, তাঁদেরই এই বেসিক খাদ্য নিরাপত্তা প্রদানে সহায়তা করা হচ্ছে।