রাজস্থানের মতো পুরনো পেনশন প্রকল্প চালুর দাবি উঠল ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়। বিষয়টি নিয়ে ঝাড়খণ্ডের ম♔ুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জানিয়েছেন, পুরনো পেনশন 🎐প্রকল্পে লাভ-ক্ষতির হিসাব মূল্যায়ন করেই সিদ্ধান্ত নেবে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেস বিধায়ক দীপিকা পান্ডে জানান, ঝাড়খণ্ডে𒈔 ১.৯ লাখ কর্মী আছেন। ২০০৪ সালের পরই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন ১.২৫ লাখ কর্মী। তাহলে কি রাজস্থানের মতো ঝাড়খণ্ড সরকারও কি কর্মীদের পুরনো পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনবে? সেই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সরকারি কর্মীদের স্বার্থ বিবেচনা করা হয়। তাই পুরো বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।
সম্প্রতি সকল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পুরনো পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনার ঘোষণা করেছে রাজস্থান। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে যদি সরকারি 🔯কর্মচারীরা নিজেদের ভবিষ্যতের বিষয়ে নিশ্চিত হন, তবেই তাঁর ভালো প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবেন। তাই যে কর্মচারীরা ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের পুরনো পেনশন প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তাব পেশ করছি।’ যে নিয়ম আগামী অর্থবর্ষ (২০২২-২৩) থেকে কার্যকর হতে চলেছে।
ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (এনপিএস) কী?
২০০৪ সালে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (এনপিএস) চಌালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর চাকরি শুরু করেছেন, তাঁরা নয়া পেনশন কাঠামোর আওতায় পড়েন। তবে কোনও রাজ্যে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম চালু করা হবে কিনা, সেই সিদℱ্ধান্ত নিতে পারে সংশ্লিষ্টি রাজ্য সরকার।
এনপিএসের আওতায় প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে একটি 'পার্মানেন্ট রিটায়ারমেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর' দেওয়া হয়। বাধ্যতামূলকভাবে বেতনের ১০ শতাংশ অর্থ দিতে হয় তাঁদের। সেইসঙ্গে সরকারও অর্থ প্রদান করে। আগে যা ছিল ১০ শতাংশ। ২০১৯ সালে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে। অবসরের পর সেই জমানো অর্থের ৬০ শতাংশ একলপ্তে তুলতে পারবেন কর্মচারীরা। সরকারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রিত এবং নথিভুক্ত বিমা সংস্থা থেকে অ্যানুইটি কেনার জন্য তাঁকে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। সেই অ্যানুইটি𒁃র উপর যে সুদ পাওয়া যায়, তাই মাসিক পেনশন হিসেবে পাবেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। অর্থাত্ নয়া পেনশন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাজারের অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হয়।