সংসদে অধিবেশনের ষষ্ঠ দিনে বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন কৃষ্ণনগরের তৃণ🥂মূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবারের লোকসভায় বিজেপির আসন এক ঝটকায় নেমে এসেছে ২♔৪০টিতে। সেই রেশ ধরেই টাকা দিয়ে প্রশ্নের অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপিকে। একইসঙ্গে কেন্দ্রে গঠিত হয় এনডিএ সরকারের স্থায়িত্ব নিয়েও তুললেন প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: মহুয়া ও সায়নী মোটেও সংসদে ঘুমাননি, ভুয়ো ছবি ভাইরাল করা হচ্ছে, ফোঁস করল তৃণমূ🃏ল
সোমবার অধিবেশনে বক্তব্য রাখার শুরুতেই প𝓡্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্যার, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, যেহেতু আপনি এখানে এক ঘণ্টার জন𝔍্য আছেন, তাই আমার কথাও শুনুন... ভয় পাবেন না। আপনি দু'বার (লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে) আমার এলাকায় এসেছেন। তাই শুনে যান স্যার।’
এরপরেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘শেষবার যখন আমি এখানে দাঁড়িয়েছিলাম, তখন আমাকে মুখ খুলতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু, শুধুমাত্র একজন সাংসদের কণ্ঠরোধ করতে গিয়ে শাসক দলকে ভারী মূল্য চোকাতে হয়েছে। তারা আমায় চুপ করাতে চেয়েছিল, কিন্তু মানুষ বিজেপির ৬৩ জন সদস্যকে চুপ করিয়ে দিয়ে🤪ছে। ৩০৩ থেকে বিজেপির আসন নেমে এসেছে ২৪০-এ।’
এদিনও মহুয়া মৈত্র লোকসভায় বর্তমান সর𒀰কারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জোর দিয়েছেন, বিজেপির সংখ্যালঘু হয়ে যাও🍃য়ার কারণে তাদের সরকার স্থিতিশীল নয় এবং শরিকদের উপর নির্ভরশীল। ফলে সরকার যে কোনওদিন ভেঙে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে মহুয়াকে ডিসেম্বরে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। মো🥀দী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করার লক্ষ্যে সংসদে নির্দিষ্ট প্রশ্ন উত্থাপনের বিনিময়ে একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উপহার এবং নগদ গ🔯্রহণ করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে মৈত্র এথিক্স কমিটির রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছিলেন। পরে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতেও গিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হ꧒য়ে ১৫ পাতার রিপোর্টও তিনি জমা দিয়েছিলেন। সেই মামলা এখনও চলছে।
এদিকে, এদিন মহুয়ার আগে লোকসভায় বক্তৃতা দেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তিনিও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ ক♋রেন। রাহুল বলেন, ‘দলিত এবং সংখ্যালঘুরা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে।’