বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বিচার ব্যবস্থা এবং কলেজিয়ামের বিরুদ্ধে বারংবার মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। এই আবহে তাঁদের বিরুদ্ধে বম্বে হাই ܫকোর্টে দায়ের হয়েছিল একটি মামলা। সেই মামলার আজ শুনানি হয়। তবে মামলাটি খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত। মামলাকারীরা উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ধনখড়ের অপসারণের দাবিও করেন। তবে আইনগত ভাবে এই আবেদনের কোনও ভিত্তি খুঁজে পায়নি আদালত। এদিকে এই মামলার প্রেক্ষিতে অ্যাসিস্টেন্ট সলিসিটর জেনারেল দাবি করেন, উপরাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না তাই এই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করা হোক। পরে আদালত জানিয়ে দেয়, এই জনস্বার্থ মামলা শুনতে ইচ্ছুক নয় আদালত, তাই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। বম্বে♐ হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় সিংগঙ্গাপুরওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্র🧜তি আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ধারাবাহিক ভাবে সুপ্রিম কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আইনমন্ত্রীর কথায়, ‘কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু ফাঁক ফোঁকড় রয়েছে, তাই মানুষ এখন সরব হচ্ছেন এই বলে যে কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ্ব নয়।’ এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষন কৌল ও এএস ওকার বেঞ্চ সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নিয়ে প্রশ্ন তোলা বন্ধ হয়নি। সরকারের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে নিয়োগ ও বদলি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়। রিজিজুর দাবি ছিল, জনগণের ভোটের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করার যোগ্য। শুধুমাত্র কলেজিয়ামের পাঠানো প্রস্তাবকে মেনে নেওয়াই সরকারের ভূমিকা হতে পারে না।
এর আগে কলেজিয়াম ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে ২০১৫ সালে মোদী সরকার জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন বা এনজেএসি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সংসদে ও ১৬টি রাজ্যের বিধানসভাতেও এই বিল পাশ করানো হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই আইনকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছিল। যা নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। কলেজিয়াম নিয়েও মুখ খুলেছিলেন ধনখড়। বলেছিলেন, 'বিচারপতি নিয়োগের নতুন ব্যবস্থা তৈরি করতে ঐতিহাসিক জাতীয় বিচারবিভাগীয় কমিশন বিল পাশ হয়েছিল লোকসভা ও রাজ্যসভায়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সেই বিল বাতিল করে ༺দেওয়া হয়েছে। সংসদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপসের একটি উদাহরণ ছিল সেটি। মানুষের রায়কে অস্বীকার করা হয় সেই রায়ের মাধ্যমে।' এই সব মন্তব্য নিয়ে কম বিচর্ক হ♛য়নি।