কবে আসছে দ্বিতীয় আর্থিক 💜প্যাকেজ? দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। অবশেষে নিজেই দ্বিতীয় আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মঙ্গলবারꦗ জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদী জানান, ভারতকে আত্মনির্ভর করে তুলতে হবে। সেটাই হবে অগ্রগতির উপায়। আর আত্মনির্ভর ভারতের গড়ার ক্ষেত্রে কোনগুলি মূল ভিত্তি হবে, তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন মোদী। তিনি বলেন, ‘আত্মনির্ভর ভারতের গড়ার জন্য পাঁচটি মূল স্তম্ভ আছে। সেগুলি হল - অর্থনীতি, পরিকাঠামো, সিস্টেম, জনসংখ্যা এবং চাহিদা।’
আর সেই আত্মনির্ভর ভারত ধারণার বাস্তবায়নের জন্য দ্বিতীয় আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেন মোদಞী। তিনি বলেন, ‘আমি আজ একটি বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করছি। যা আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পাল👍ন করবে। করোনা নিয়ে সরকার যে ঘোষণা করেছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার ঘোষণা এবং আজকের প্যাকেজ মিলিয়ে এই প্যাকেজ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকার। যা ভারতের জিডিপি'র প্রায় ১০ শতাংশ। এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন শ্রেণী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি ২০ লাখ কোটি টাকার সম্বল পাবে এবং সাহায্য পাবে। ২০ লাখ কোটি টাকার এই প্যাকেজ ২০২০ সালে ভারতের বিকাশযাত্রাকে (দৃঢ়তা দেবে)। ২০ লাখ - ২০২০-তে আত্মনির্ভর অভিযানকে নতুন গতি দেবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে লকডাউন নিয়ে সবথেকে বেশি সময়ের ভাষণে মোদী দাবি করেন, নয়া প্যাকেজের ফলে দেশের সব শ্রেণীর উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, ‘জমি, শ্রম, নগদের জোগান এবং আইন - সবকিছুর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বস্ত্র শিল্প, ছোটো শিল্প, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোটো শিল্পের জন🉐্য। যাဣরা কোটি কোটি মানুষের জীবিকা। যা আত্মনির্ভর ভারত সংকল্পের মজবুত ভিত্তি। এই আর্থিক প্যাকেজ দেশের সেই শ্রমিকের জন্য, দেশের সেই কৃষকের জন্য, যাঁরা প্রতিটি পরিস্থিতি, প্রতিটি আবহাওয়ায় দেশবাসীর জন্য পরিশ্রম করছেন।’
করোনা সংকটের মধ্যে কোনও আর্থিক সহায়তার ঘোষণা না করা হওয়♎ায় মধ্যবিত্তদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল। নয়া প্যাকেজে সেই ক্ষোভ প্রশমনেরও চেষ্টা করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘এই প্যাকেজ আমাদের দেশের মধ্যবিত্তের জন্য, যারা সৎভাবে কর দেন। দেশের উন্নয়নে যোগদান করেন। এই আর্থিক প্যাকেজ ভারতের শিল্প মহলের জন্য, যারা ভারতের আর্থিক সামর্থ্য মজবুত করার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
তবে প্যাকেজের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানাননি মোদী। বরং জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নয়া প্যাকেজ নিয়ে যাবতীয় প্রশ𒉰্নের উত্তর দেবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
মোদী দাবি করেন, তাঁর সরকারের সাহসী পদক্ষেপের জন্য করোনা সংকটের সময়েও ভারতের মোকাবিলা পদক্ষেপ তুলনায় বেশি সক্ষম। সংস্কারের মোড়কে নাম না করে পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারকেও খোঁচা দিয়ে যান মোদী। তিনি বলেন, ‘সাহসী সংস্কার অনিবার্য। গত ছ'বছরে যে আর্থিক সংস্কার হয়েছে, সেই কারণ করোনা সংকট ব্যবস্থপনায় অধিক সক্ষম হয়েছে। নাহলে কে ভাবতে পেরেছিল, ভারত সরকার যে টাকা পাঠাবে, তার পুরোটাই গরীবদের পকেটে, কৃষকদের পকেটে যাবে? কিন্তু এট𝄹া হয়েছে। তাও তখন হয়েছে যখন সব সরকারি দফতর বন্ধ ছিল। পরিবহন বন্ধ ছিল। একটা সংস্কারের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এবার সেই সংস্কারের ব্যাপকতা বাড়াতে হবে। নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে হবে। কৃষকরা যাতে আর্থিকভাবে শক্ত হন এবং ভবিষ্যতে করোনার মতো সংকটে কৃষিক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রভাব পড়ুক।’ মোদী দাবি করেন, নয়া সংস্কারের ফলে ব্যবসার জন্য আরও ভালো পরিবেশ তৈরি হবে। বিনিয়োগ বাড়বে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প আরও শক্তিশালী হবে।
করোনা সংকটের সময় কীভাবে স্থানীয় শিল্পগুলি দেশবাসীকে রক্ষা করেছে, তাও তুলে ধরেন ম꧅োদী। সেজন্য এবার থেকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পরিবর্তে দেশীয় সামগ্রী ব্যবহারের আর্জি জানান তিনি। বলেন, ‘সংকটের সময় প্রত্যেক ভারতবাসীকে নিজের 'লোকাল'-এর জন্য ভোকাল হতে হবে। শಞুধু লোকাল সামগ্রী কিনলেই হবে না, গর্বের সঙ্গে সেগুলির প্রচার করুন। আমার পুরো বিশ্বাস যে আমাদের দেশ এটা করতে পারবে।'