গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নৌসেনাদের নিরাপদে দেশে ফেরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কৃতিত্ব দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
তিনি বলেন, 'আমাদের অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা সদস্যরা, যারা কাতারের কয়েকটি কোম্পানিতে কাজ করছিলেন, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী কাতারের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলেন এবং ২-৩ দিনের মধ্যে তাদের শাস্তি প্রত্যাহার করা হয় এবং নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা ভারতে ফিরে আসেন। আগামী ১৯ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে বিহারের বাঙ্কায় এক জনসভায় রাজনাথ সিং বলেন, এটাই ভারতের শক্তি।
গত ফেব্রুয়ারিতে দাহরা গ্লোবাল কোম্পানিতে কর্মরত নৌবাহিনীর𒉰 সাবেক আট সদস্যকে মুক্তি দেয় কাতার। ২০২২ সালের অক্টোবরে একটি সাবমেরিন প্রোগ্রামে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করে কাতার কর্তৃপক্ষ। কাতারের আদালত তাদের গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে এবং🐓 তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
কাতার ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার পর নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে বর্🐈ধিত কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কারাবন্দি ভারতীয়দের বিভিন্ন আত্মীয়স্বজন বিদেশমন্ত্রকের কাছে যোগাযোগ করার পরে কারাদণ্ডের মেয়াদও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল, যার ফলে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য সমস্ত কূটনৈতিক চ্যা💫নেল ব্যবহারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
হিন্দুস্তান টাইমস বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে, কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের পর্দার আড়ালের কূটনীতি নৌসেনার প্রবীণ সেনাদের মুক্তি নিশ্চিত করেছে।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কূটনৈতিক ফ্রন্টের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং দোভাল প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সূক্ষ্ম আলোচনা পরিচালনা করেছিলেন। কাতারের নেতৃত্ব ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে পারবে এই দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে এনএসএ দোহায় বেশ কয়েকটি নীরবে সফর করেছিল।