নবরাত্রি উপলক্ষে দেবী দুর্গাকে উৎসর্গ করে গরবার জন্য গান লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! সোমব🅘ার মোদী নিজেই সেকথা জানিয়েছেন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে। সেইসঙ্গে, 'আবাতি কালায়' শীর্ষক ওই গানের একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন তি💜নি। দশভুজা যেন সকলকে আশীর্বাদ করেন, করেছেন সেই প্রার্থনা।
সংশ্লিষ্ট পোস⛄্টে মোদী লেখেন, 'এ হল, নবরাত্রির পবিত্র মুহূর্ত। মানুষ তাদের মতো করে নানাভাবে এই মুহূর্ত উদযাপন করছে। দেবী দুর্গার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও ভক্তি তাদের এক করে দিয়েছে। শ্রদ্ধা ও আনন্দের এই আবেগ পাথেয় করেই রইল এই আবাতি কা🐬লায়। মা দুর্গার শক্তি ও দয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি এই গরবা সঙ্গীত রচনা করেছি। আমরা সকলেই যেন তাঁর আশীর্বাদ লাভ করতে পারি।'
শারদীয়া নবܫরাত্রি বা শারদোৎসব হল, নয় রাতের একটি উৎসব বা রীতি।🦄 এই সময়ে বিশ্বজননী দুর্গার পুজো করে মাতৃশক্তির আরাধনা করা হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডারের আশ্বিন মাসে এই উৎসব পালন করা হয়।
ভারতের নানা প্রান্তের মানুষ এই উৎসব পালন করলেও, অঞ্চল ও জাতি ভেদে, উৎসব প🐬ালনের রীতিনীতি একেবারেই ভিন্ন ও স্বতন্ত𒁏্র হয়। এই বিভিন্নতার মধ্যেই দেবী দুর্গার পুজো ও আরাধনার মধ্য দিয়ে একযোগে উৎসবে মেতে ওঠে সারা ভারতের মানুষ। যা এককথায় অভূতপূর্ব।
গরবা সঙ্গীত লেখা প্রসঙ্গে এদিন আরও একটি পোস্ট করেন প্রধান𝔉মন্ত্রী মোদী। তাতে তিনি লেখেন, 'পূর্ব মান্ত্রি এক একজন উদীয়মান সঙ্গীতশিল্পী। এই গরবাটি এত সুন্দরভাবে এমন সুরেলা কণ্ঠে গাওয়ার জন্য আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
উল্লেখ্য, নবরাত্রি চলাকালীন, প্রত্যেকটি দিন দেবী দুর্গার এক-একটি রূপের পুজো করা হয়। যা আদতে নানা গুণের প্রতীক। যেমন - শক্তি, সহানুভূতি ও জ্ঞান। এই সময় অনেকে উপোস করেন, ভক্তিমূলক গান বাজনার আয়োজন করা হয়ไ। সেইসঙ্গে, গ⭕রবা ও ধনিয়ার মতো ঐতিহ্যশালী নাচের আসরও বসে বিভিন্ন জায়গায়। যার ফলে সামগ্রিকভাবে এক উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়।
নবরাত্রির মধ্যে সপ্তম দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা ꦚহয়। ওই দিন মা কালরাত্রির আরাধনা করা হয়। যা দেবী দুর্গার একটি উগ্র রূপ হিসাবে গণ্য করা হয়। এই রূপে দেবী অসুর, দানব, দুষ্ট আত্মা এবং সমস্ত অশুভ শক্তিকে দমন করেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই রূপে দেবীর পুজো করা হলে তাঁরা 'অন্ধকারের কবল থেকে' অর্থাৎ সমস্ত রকম অশুভ শক্তির প্রকোপ ꧙থেকে মুক্তি পাবেন।