রবিবার তুলকালাম হয়েছে। সোমবার থেকেে ধরনায় বসেছেন আট সাংসদ। তাতে একটি শব্দও খরচ করেননি। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং চা নিয়ে যাওয়ার পরই মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হরিবংশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়ার পাশাপাশি বিধানসভা ভোটের আগে বিহার আবেগও উসকে দিতে পিছপা হলেন না তিনি।সোমবার থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছেন রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া আট সাংসদ। মঙ্গলবার সকালে কিছুটা অবাক করেই আট সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। যাঁর সিদ্ধান্ত নিয়েই রবিবার সংসদের উচ্চকক্ষে তুলকালাম বেঁধেছিল। আট সাংসদের জন্য চা নিয়ে যান। সেজন্য টুইটারে হরিবংশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন মোদী। হরিবংশ যে আদতে বিহারের সাংসদ, তা টুইটের শুরুতেই মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি মোদী। একইসঙ্গে বছর শেষে এনডিএ জোটের ভাগ্য নির্ধারণ করতে চলা বিহার যে শিক্ষা দিচ্ছে, তার প্রশংসা করতে কোনও কসুর ছাড়েননি। পরে আসে হরিবংশের প্রশংসা। মোদী বলেন, 'শতকের পর শতক ধরে বিহারের পবিত্র ভূমি আমাদের গণতন্ত্রের মূল্যবোধ শেখাচ্ছে। সেই দুর্দান্ত পথে হেঁটেই আজ সকালে বিহারের সাংসদ ও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান শ্রী হরিবংশজির অনুপ্রেরণামূলক ও রাষ্ট্রনেতার মতো আচরণে গর্ববোধ করবেন প্রত্যেক গণতন্ত্রপ্রেমী।' দ্বিতীয় টুইটে অবশ্য বিহার নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করেননি মোদী। বরং বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই তাঁর উপর যাঁরা হামলা চালিয়েছেন, তাঁকে অপমান করেছিলেন, তাঁদের ব্যক্তিগতভাবে চা দিয়ে এবং তাঁদের সঙ্গে ধরনায় বসে হরিবংশজি দেখালেন যে তিনি কতটা নম্র এবং তাঁর হৃদয় কতটা বড়। এটা তাঁর মহত্বের পরিচয়। ভারতের মানুষের সঙ্গে তাঁকে হরিবংশজিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি আমি।’ইংরেজিতে দুটি টুইটের পাশাপাশি হিন্দিতেও তিনটি টুইট করেন মোদী। রাজনৈতিক মহলের মতে, এমনিতেই বিধানসভা ভোটের আগে অধিকাংশ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা বিহার থেকেই করা হচ্ছে। নিজেই সেই কাজ করছেন মোদী। আর এবার জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে বিহার আবেগ উসকে দিয়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট টানার কাজটা সুকৌশলে সেরে রাখলেন তিনি।