মানি লন্ডারিং মামলায় বহু সংখ্যক রাজনীতিবিদকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে জানিয়েছে যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দ্বারা মানি লন্ডারিং কেসে দোষী সাব্যস্তে𝓀র হার ৯৩ শতাংশ। রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধেও শতাধিক মামলা রয়েছে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী, রাজ্যসভায় জিজ্ঞাসিত ꦍএকটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বলেছেন যে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এজেন্সি মোট ৭,০৮৩টি এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট (ইসিআইআর) দাখিল করেছে।
১.৩৯ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অর্থাৎ পিএমএলএ ২০২২ সালে প্রণীত হয়েছিলܫ এবং ১ জুলাই, ২০০৫ থেকে কার্যকর হয়েছিল। আর ১.৩৯ 💫লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পদ এই আইনের অধীনেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে গত ছয় বছরে শতাধিক মানি লন্ডারিংয়ের মামলা
গত ছয় বছরে বর্তমান এবং প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক, এমএলসি এবং রাজনীতিব𒆙িদদের বিরুদ্ধে মোট ১৩২টি মানি লন্ডারিং মাম📖লা নথিভুক্ত করা হয়েছে, সরকার মঙ্গলবারই সংসদে জানিয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৩৪টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। যেখানে ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৮টি এবং ২০২১ ও ২০২৩ সালে ২৬টি মামলা হয়েছিল, যার মধ্যে মাত্র পাঁচটি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Sheikh Hasina to return to Bangladesh: 'শীঘ্রই বাংলাদেশে ফিরব', দিল্লির অজ্ঞাতবাস থেকে বার্তা শেখ হাসিনা𓄧র)
২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মানি লন্ডারিংয়ের কত মামলা নথিভুক্ত হয়েছে
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের লোকসভায় ভাগ করা তথ্য অনুসারে, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইডি ৫,২৯৭টি মানি-লন্ডারিং মামলা নথিভুক্ত করেছে, যার মধ্যে ৪০ দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এবং তিনটি খালাস হয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মানি লন্ডারিং বিরোধী আইনে ৩৭৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিত্যানন্দ রাই বলেছেন যে ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের অধীনে মোট ৮,৭১৯ কেস নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এইসব 💟মামলায় ৫৬৭ জনকে খালাস এবং ২২২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
ব্ল্যাক মানি আইনের অধীনে একাধিক মামলা
সরকার বলেছে যে ব্ল্যাক মানি অ্যাক্টের অধীনে, ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এককালীন তিন মাসের কম্প্ল্যায়েন্স উইন্ডে বিএমএ-এর অধীনে ৫,১৬৪ কোটি টাকার অবৈধ বিদেশী সম্পদের ৬৪৮টি প্রকাশ করা হয়েছে। এই ধরনের ক্ষেত্রে কর এবং জরিমানা হিসাবে প্রায় ২,৪৭৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত, প্রায়༒ ৬৫২ মামলায় ১৭,১৬২ কোটি টাকারও বেশি দাবি করার আদেশ পাস করা হয়েছে। কালো টাকার এই আইনের অধীনে ১৬৩টি বি🏅চার শুরু করা হয়েছে এবং ১০৯টি মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।