চলছিল পিএমএলএ ( প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট) এর বৈধতা নিয়ে মামলা। আর্থিক তছরুপ রোখা সংক্রান্ত এই মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্ট🧸ে। তবে মামলার মাঝেই বিচারপতিদের বেঞ্চ মুলতুবি করে দিল সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচা𒁏রপতির বেঞ্চ। কারণ, এই মামলায় সরকার পক্ষ তার সওয়াল জবাবের জন্য আরও সময় চেয়েছিল। ফলে অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ায়, বেঞ্চ তার রায় দিতে অসমর্থ হয়েছে, এমনটা জানিয়ে বেঞ্চ মুলতুবি করে কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষণ কৌল, সঞ্জীব খান্না, বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। এই বেঞ্চের কাছে সরকার পক্ষ জানিয়েছে, তারা এই ইস্যুতে নিজেদের সওয়াল জবাব স্থির করতে আরও সময় চাইছে। এদিকে, বিচারপতি এসকে কৌলের অবসর রয়এছে ২৫ ডিসেম্বর। ফলে কোর্টের ওই বেঞ্চের কাছে সময় রয়েছে কম। সেই জায়গাটি বিবেচনা করে, ওই বেঞ্চই মুলতুবি করে দেয় কোর্ট। বিষয়টি নিয়ে এসকে কৌল বলেন, ‘আমি কি করতে পারি? একটু ভারাক্রান্ত মন নিয়েই করছি।’ এই মামলা নিয়ে বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘মাননীয় সলিসিটার জেনারেল সময় চেয়েছেন, যা এই বেঞ্চের পক্ষে সময়ই রাখল না রায় দানের জন্য, সংশোধনী আবেদন অনুমোদিত হচ্ছে। কাউন্টার হলফনꦆামার জন্য ৪ সপ্তাহ দেওয়া হল। রিজয়েন্ডার থাকলে আরও ৪ সপ্তাহ। দেশের প্রধান বিচারপতিকে আরও একটি বেঞ্চ এজন্য গঠন করতে হবে, কারণ এই বেঞ্চের একজন তাঁর কর্তব্যཧ থেকে অবসর নিচ্ছেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেশের প্রধান বিচারপতির থেকে নিতে হবে।’
যে মামলায় এই আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত পিএমএলএ আইনের প্রসঙ্গ এসেছে সেই মামলাটি বিজয় মদনলাল চৌধুরী বনাম ভারত সরকারের মামলা। যেখানে পিএমএলএ আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। দেশের অর্থপাচার বিরোধী এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন আইনের চলমান ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এর আগে এই আবেদনগুলিতে শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল। গতকালের শুনানিতে, আদালত মৌখিকভাবে মতামত দিয়েছে যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কর ফাঁকির মামলাগুলির জন্য পিএমএলএকে আহ্বান করতে পারে না কারণ আয়কর আইনের অধীনে অপরাধগুলি পিএমএলএর অধীনে নির্ধারিত অপরাধ নয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সপ্তাহের শুরুতে, কেন্দ্রীয় সরকার ব্যক্ত করেছে যে তাদের রিট পিটিশনে আবেদনকারীদের ꦺদ্বারা করা সংশোধনীর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার প্রস্তুতির জন্য আরও সময় প্রয়োজন।