বিশ্ব কল্যাণ পুরকায়স্থ
অসম পুলিশ শনিবার চোরাশিকারী সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে তারা একটি স্ত্রী পূর্ণবয়স্ক গন্ডারকে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে একটি একে ৪৭ রাইফꦅেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই রাইফেল দিয়েই ওই গন্ডারকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চোরাশিকারিদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং চোরাশিকারে ব্যবহৃত এ কে রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। অসম পুলিশের (ডিজিপি) জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, অপরাধস্থলের পুন🐓র্নির্মাণের পাশাপাশি আরও কিছু পুনরুদ্ধার এখনও করা বাকি।
২১ জানুয়ারি কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও টাইগার রিজার্ভের অ🧔ন্তর্গত আগোরাতোলি ফরেস্ট রেঞ্জে চোরাশিকারিদের হাতে একটি স্ত্রী গন্ডার মারা যায় এবং পরের দিন মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। আধিকারিকদের মতে, চোরাশিকারিরা সিং কেটে নি𒐪য়ে পালিয়ে যায়।
এই বছর অসমে গন্ডার শিকারের এটি প্রথম ঘটনা ছিল এবং কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে শিকারিরা ব্রহ্মপুত্র নদী পেরিয়ে কাজ🌱িরাঙ্গায় প্রবেশ করেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে যে তারা ঘটনা👍র পরে অভিযান শুরু করে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে শিকারিদের সন্ধান 𒐪করতে সক্ষম হয়।
আমরা প্রয়োজনীয় সোর্সগুলি ব্যবহার করেছি ও যোগসূত্রগুলি অনুসরণ করেছি এবং সম্ভাব্য বাজারগুলিতে নজর রেখেছিলাম। ধারণা করা হচ্ছিল, চোরাশিকারিরা খড়্গ বিক্রির চেষ্টা করবে। আমরা শুক্রবার সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছি এবং শিকারিদের গ্রেফতার করেছি, একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছ⭕েন।
ডিজিপি বলেন, একটি অসামান্য তদন্তে, পুলিশ স𓆉ুপার (এসপি) গোলাঘাটের💫 নেতৃত্বে একটি দল কাজিরাঙ্গায় সাম্প্রতিক গন্ডার শিকারের ঘটনার কিনারা করেছে।
ধৃত চোরাশিকারিদের মধ্যে একজনকে চিরাং জেলার বিজনী মহকুমার বাসিন্দা জোগে পেগু বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েꦡছে যে তারা বিষয়টি আরও তদন্ত করছে এবং পরে আরও জানানো হবে।
প্রায় তিন দশক পর ২০২২🎐 সালে অসমে গন্ডার শিকার শূন্য। হলিউড অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং বিশ্বের আরও অনেকে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার জন্য অসম সরকারের প্রচেষ্টার প্রশং🥃সা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত তিন বছরে চোরাশিকার বন্ধে কিছু ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল এবং ফলস্বরূপ এই ধরনের চোরাশিকার বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। আমরা পশুর দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রিসহ প্রতিটি অবৈধ কাজে কঠোর নজরদারি রাখছি, কারণ এ🔴ই ধরনের পণ্য বিক্রিই বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডের কারণ, বলেছে পুলিশ।
ডিজিপি চোরাশিকারিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, পুরো টিম ও সুপারভাইজর🃏ি অফিসারদের অভিনন্দন। এক শৃঙ্গ গন্ডার রক্ষায় আমাদের অঙ্গীকার অটুট।