ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে বচসার জেরে এক পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের চালিসগাঁওয়ে। মুম্বইয়ের পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন ওই যুবক। মৃতের নাম শ♕ুভম আগন। অভিযোগ, একদল যুবক তাকে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন কনস্টেবলের পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: অটোচালকদের হাতে ꦑমার খেল𝓰 ‘নিরুপায়’ পুলিশ, ‘মার্ডারের হুমকি দিত, চমকাত'
জানা গিয়েছে, ওই কনস্টেবল তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে সম্প্রতি চালিসগাঁও এসেছিলেন। তাতে পরিবারেরꦛ সকলে খুশি ছিলেন। কিন্তু, সেই খুশি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। রবিবার চালিসগাঁওয়ের ওধারে একটি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সমর্থকদের সঙ্গে শুভমের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ১০ থেকে ১২ জন যুবক উইকেট, তলোয়ার এবং অন্যান্য ধারালো অস্ত্র হাতে নিয়ে পাটনারোডে শুভমকে আক্রমণ করে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন শুভম। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার সময় তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনা ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ক্রিকেট নিয়ে বচসার কারণেই কনস্টেবলকে খুন করা হয়েছে নাকি পুরনো শত্রুতা রয়েছে? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চালিসগাঁও সিটি পুলিশ ১২ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা, ৩২৪ ধারায় স্বেচ্ছায় আঘাত করা এবং ৫০৪ ধারায় ইচ্ছাকৃত অপমান করার মামলা রুজু করেছে। মামলার তদন্তকারী অফিসার সাগর ঢিকলে জানান, রবিবার শুভম নিজের শহরে ছিলেন। বিকলে চালিসগাঁওয়ে ক্রিকে𝔉ট ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন। পরে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সদস্যদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভম। এরপরে সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষ দলের সদস্যরা শুভম ও তার বন্ধু আনন্দকে ধাওয়া করে এবং মারধর করে। তাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। অফিসার জানান, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাদের আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।