গুজরাটে আমদাবাদ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ৪৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করল পুলিশ। এই সমস্ত বাংলাদেশি নাগরিকরা ꧃শুধু যে অবৈধভাবেই ভারতে প্রবেশ করেছিল ত⛦াই নয়, কার্যত ঝুপড়ি বানিয়ে আমেদাবাদে থাকছিলেন। এই অভিযোগে শুক্রবার হানা দিয়ে তাদের আটক করে পুলিশের অপরাধ বিভাগ। এদের মধ্যে ৮ জন মহিলা এবং ৬ জন নাবালক রয়েছে। তাদের চন্দোলা লেক, দানি লিমদা, শাহ-ই-আলম এবং কুবেরনগর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ইছামতী নদী পার করে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ꧋, গাইঘাটায় গ্রেফতার ৪ বাংলাদেশি
জানা গিয়েছে, জাল নথি ব্যবহার করার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ভারতে মহিলাদের পাচার ও দেহ ব্যবসার কাজে নামানোর অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা💮য় তদন্ত করছিল পুলিশের অপরাধ বিভাগ। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে অবৈধভাবে বাংলাদেশি নাগরিকদের আমদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় থাকার খবর পেয়েছিল পুলিশ। তার ভিত্তিতে ওইসব জায়গায় হানা দিয়ে তাদের আটক করা হয়। সহকারী পুলিশ কমি🥂শনার ভরত প্যাটেল বলেছেন, যে এই মামলায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে জিজ্ঞাসা🅘বাদ করেছে। তাদের নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর ৪৮ জন নাগরিককে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছে কোনওরকম নথি ছিল না। অবৈধভাবেই তারা আমেদাবাদে বাস করছিল।
এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আটক করা হয়েছে দানি লিমদা এলাকার কাছে চন্দোলা লেক থেকে। ♐জানা যায়, তারা শুকনো লেক দখল করে থাকছিল। সেখানে ঝুপড়ি ♐বানিয়ে তারা থাকছিল। পুলিশ কমিশনার জানান, স্যাটেলাইট ইমেজ এবং গুগল আর্থ ডেটার সঙ্গে তুলনা করে দেখা হচ্ছে তারা কতটা এলাকা দখল করেছে।
সেখানে আরও বাংলাদেশি অবৈধভাবে রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। জানা যায় , এদিন পুলিশ হানা দেওয়ার পরেই ভয়ে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আটকদের মধ্যে পুরুষরা নিজেদের আসল পরিচয় গোপন করে স্থানীয় কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করত। আবার কেউ কেউ ভিক্ষাও করত। তদন্তে জানা গিয়েছে, যে কিছ🐼ু বাংলাদেশি মহিলা এখানে আসার পর তাদের স্বামীরা জোর করে তাদের দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করে। তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সংস্থার সহায়তায় এই অবৈধ বাংলাদেশিদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আরও কোনও বাংলাদেশি নাগরিক সেখানে অবৈধভাবে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।