অরুণাচল প্রদেশের হোটেলে কেরলের ৩ বাসিন্দার মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গিয়েছে। এই মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে এলিয়েন বা ভিনগ্রহী তত্ত্ব। মৃতদের ল্যাপট🌳প সহ অন্যান্য নথিপত্র খতিয়ে দেখে ভিনগ্রহীদের সঙ্গে সংযোগের তথ্য পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তা দেখে কার্যত চোখ ছানাবড়া তদন্তকারীদের। উল্লেখ্য, অরুণাচল প্রদেশে হোটেলে বিবাহিত দম্পতি নবীন ও দেবী এবং তাদের মহিলা বন্ধু আর্যকে গত ২ এপ্রিল মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তাদের শরীরে একাধ🐽িক আঘাত ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের সময় উদ্ধার হওয়া নথি এবং বিভিন্ন চ্যাট থেকে বোঝা যায় যে এই ৩ জন পরকালের জীবনে বিশ্বাস করতেন এবং এই বিষয়ে তারা গভীরভাবে অধ্যায়ন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: অরুণাচলের হোটেলে উদ্ধার দম্পতি সহ ৩ জꦏনের দেহ, ‘কালা জাদু’র ইঙ্গিত সুইসাইড নোটে
আর্যের ল্যাপটপ পরীক্ষা করে পুলিশ একটি পিডিএফও খুঁজে পেয়েছে। তাতে বহির্জাগতিক জীবন এবং পৃথিবীতে আসা এলিয়েন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। ৪৬৬ পৃষ্ঠার এই পিডিএফে ‘মিথি’ নামের একটি ভিনগ্রহী চরিত্রের সঙ্গে কথোপকথন রয়েছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে মিথি হল অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের (মিল্কি ওয়ের নিকটতম ছায়াপথ) একজন এলিয়েন। সেই পিডিএফে ওই ভিনগ্রহীর সঙ্গে কথোপকথন প্রশ্ন-উত্তর আকারে লেখা রয়েছে। এই কথোপকথনের শুরু শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল- ‘অ্যান্সার অব এন এলিয়েন ফ্রম অ্যান্ড্রোমিডা ভিডিয়ো ২- ১০ সে🤡প্টেম্বর ২০১০’। নথিতে মিথির একটি ছবিও রয়েছে। তার পরনে একটি কালো টি-শার্ট এবং কালো প্যান্ট রয়েছে। চোখ দুটি বড়, এবং চুল বিহীন মাথা রয়েছে।
ওই পিডিএফে পৃথিবীতে ভিনগ্রহীদের যোগাযোগের বিষয়ে অনেক দাবি করা হয়েছে। তাতে আরও দাবি করা হয়েছে, যে ডাইনোসরের বিলুপ্তি𓆉 হয়নি। ভিনগ্রহীদের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তাদের অন্য গ্রহে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। অর্থাৎ ডাইনোসর এখনও জীবিত এবং অন্যান্য গ্রহে রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। মানুষের বিকাশের জন্য তাদের অন্য গ্রহে স্থানান্তর করেছিল ভিনগ্রহীরা।
শুধু তাই তাতে আরও দাবি করা হয়েছে, পৃথিবীতে ভিনগ্রহীদের ৫৮ টি বিভিন্ন জাতি নিয়মিত পৃথিবীতে আসছে। তাদের ক𒆙েউ কেউ প্রাণীজগত এবং উদ্ভিদের মধ্যে প্রꦅাণের সন্ধান করছেন, কেউ খনিজ গবেষণায়, আবার কেউ অন্যান্য বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলে পিডিএফে দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই ভবিষ্যতবাণীও রয়েছে ওই পিডিএফে।
তাতে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে মানুജষ এবং প্রাণীদের ৯০𓆏 শতাংশ অন্য দুটি গ্রহে স্থানান্তরিত হবে। প্রযুক্তিতে মানুষের অগ্রগতির জন্য ভিনগ্রহীদের হস্তক্ষেপকে দায়ী করা হয়েছে। পিডিএফে ‘AtlanticoBR’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের লিঙ্ক রয়েছে। ওই চ্যানেলে ভিনগ্রহীর যে ছবি রয়েছে সেটিই রয়েছে পিডিএফে। যার নাম দেওয়া হয়েছে মিথি।
পুলিশের অনুমান, মৃত নবীন, দেবী এবং আর্য ডার্ক নেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেঁটে এই সমস্ত কাল্পনিক তথ্য পেয়েছিলেন। তিরুবনন্তপুরম ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি ৬ সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল এই মামলার 𒀰তদন্ত করছে।