ꦉ রাজ্য পুলিশের অনুষ্ঠানে ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট মেয়েকে সমীহ করে স্যালুট করলেন পুলিশ আধিকারিক বাবা। টুইটারে পোস্ট করার পরে সেই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হল।
ඣসোমবার তিরুপতিতে অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্য পুলিশের ডিউটি মিট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা তদারক করছিলেন গুন্টুর জেলার ডিএসপি ইয়েন্দলুরু জেসি প্রশান্তি। আচমকা এক পুলিশ ইন্সপেক্টর এসে তাঁকে স্যালুট করেন। প্রত্যুত্তরে রীতি মেনে পালটা স্যালুট করেন প্রশান্তি, আর তার পরেই পরম বিস্ময়ে অভিভূত হন তিনি। আসলে, তাঁকে যিনি স্যালুট করেছিলেন, তিনি প্রশান্তিরই বাবা ইন্সপেক্টর শ্যাম সুন্দর।
💞প্রাথমিক প্রক্রিয়ায় ‘এ কি, বাবা?’ বলে হেসে ওঠেন ডিএসপি। সেই সঙ্গে তাঁর চোখের কোলও চিকচিক করে ওঠে। উলটো দিকে আবেগে ভেসে গেলেও দায়িত্বে সচেতন শ্যাম সুন্দর সৌজন্যের হাসিতে নিজেকে সংযত করেন।
🐲তিরুপতির কল্যাণী বাঁধ অঞ্চলে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বহাল ইন্সপেক্টর শ্যাম সুন্দর জানতেনই না যে তাঁর মেয়ে জেসি সে দিন সেখানে উপস্থিত হবেন। কাজের ফাঁকে আচমকা তাঁর নজরে পড়ে, উর্ধ্বতন পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনায় মগ্ন হয়েছেন ডিএসপি-র উর্দিধারী জেসি। তখনই শীর্ষ পদের আধিকারিককে স্যালুট করার কথা তাঁর মাথায় আসে।
✃উর্দিতে বাবা-মেয়ের এই আবেগঘন অথচ সংযত স্যালুট বিনিময় নজর এড়ায়নি ঘটনাস্থলে উপস্থিত শীর্ষস্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের। অভিনব দৃশ্যটি তত ক্ষণে ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেছেন উৎসাহী এক পুলিশকর্মী। পরে সেই ছবি অন্ধ্র প্রদেশ পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হলে দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
𝓡তিরুপতির (নগর) এসপি এ রমেশ রেড্ডি বলেন, ‘এমন দৃশ্য সিনেমার পর্দায় প্রায়ই দেখা যায়, তবে বাস্তবে বিরল। দেখে ভালো লাগছে যে, পুলিশের অনুষ্ঠানে বাবা-মেয়ে উর্দি পরে কর্তব্যে অটল রয়েছেন। প্রশান্তির জন্য আমি গর্বিত।’
𓆉বাবার স্যালুট পেয়ে কেমন লাগল, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশান্তি বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের জন্য তিরুপতিতে আসার পরে বাবার সঙ্গে দেখা হয়নি। তাই ওঁকে দেখে দারুণ সারপ্রাইজ পেলাম। উনি আমায় স্যালুট করলে একটু লজ্জা পেয়েছিলাম, তবে এ সবই ডিউটির অংশ।’
🃏আর গর্বিত বাবা শ্যাম সুন্দর জানিয়েছেন, ‘সন্তান সফল হলে এবং দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করলে কোন বাবই না খুশি হন? আমি নিশ্চিত যে আমার মেয়ে দক্ষ হাতে সুনিপুন ভাবে তার কর্তব্য পালন করতে সক্ষম হবে।’
✅বাবার সম্পর্কে প্রশান্তি জানিয়েছেন, ‘বাবা বরাবরই আমার অনুপ্রেরণা। তাঁর জন্যই এই পেশায় এসেছি।’