✃ইসলামিক আইন কোনও স্বামীর বহুবিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু তিনি যাতে সমস্ত স্ত্রীকে সমানভাবে মান্যতা দেন সেটাও দেখার কথা বলা হয়েছে। আর সেটা যদি না হয় তবে সেটা নিষ্ঠুরতা বলে উল্লেখ করা হবে। মাদ্রাজ হাইকোর্ট সম্প্রতি এই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে। খবর বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে।
♑বিচারপতিদের বেঞ্চ আরএমটি টিকা রামন ও পিবি বালাজি পারিবারিক আদালতের একটি রায়কে বহাল রেখে দেয়। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ওই স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা তার প্রথম স্ত্রীকে নানাভাবে হেনস্থা করতেন। সেই সঙ্গেই তিনি অত্যাচার করতেন প্রথম স্ত্রীকে। এরপর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তারপর থেকে তিনি তার সঙ্গেই থাকতেন।
🎃তবে বিচারপতিরা তাঁদের রায়ে জানিয়েছেন, ইসলামিক আইনে ওই ব্যক্তি( স্বামী) তার প্রথম স্ত্রী ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে একই চোখে দেখছেন না। ইসলামিক আইনে ওই ব্যক্তি বহু বিবাহ করতে পারেন। কিন্তু তাঁকে সমস্ত স্ত্রীকে সমান চোখে দেখতে হবে।
꧒এদিকে প্রথম স্ত্রী জানিয়েছিলেন, তার স্বামী, তার শাশুড়ি ও ননদ তাকে হেনস্থা করতেন। তিনি গর্ভবতী থাকার সময় তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার উপর অত্যাচার করত। গর্ভবতী অবস্থায় কেন ঠিকঠাক করে শাড়ি পরছি না সেকারণে তার উপর অত্যাচার করা হত। একবার বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরে তার ননদ তাকে নানাভাবে কথা শোনাতেন।
ꦯস্ত্রীর দাবি, স্বামী তাকে অন্য়ান্য আত্মীয়দের সঙ্গে তুলনা করত। তার তৈরি খাবার খেত না। একটা সময় অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেড়়ে যায় যে স্ত্রী তার শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান। এরপরই স্বামী দাবি করেন, না ফিরলে দ্বিতীয় বিয়ে করব এমনটাই দাবি করেন প্রথম স্ত্রী। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন ওই ব্যক্তি। তবে স্বামী এই সব অভিযোগ মানতে চাননি।
🀅এদিকে আদালতের পর্যবেক্ষণ ওই স্বামী মহিলাকে স্ত্রীর অধিকার দেননি। এর জেরে তিনি তার বাবার বাড়িতে ফিরে যান। আদালতের পর্যবেক্ষণ ওই ব্যক্তি দুই স্ত্রীকে সমানভাবে দেখেন না। এরপর স্বামীর আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত।