হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২১ জনের। ইতিমধ্যেই একাধিক দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তাতে উঠে এসেছে মৃত্যুর কারণ। জানা গিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বুকে আঘাত লেগে এবং শ্বাসকষ্টের কারণে মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে আগ্রার সরকারি হাসপাতাল এসএম মেডিক্যাল কলেজ ও🎃 হাসপাতালে ২১ জনের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: হাথরসে মৃত্যুমিছিল দಞেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কনস্🃏টেবলের
হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার অরুণ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, বুকে রক্ত জমে যাওয়া, পাঁজরে আঘাত এবং শ্বাসকষ্ট হয়ে অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ২১ জন মথুরা, আগ্রা, পিলভিত, কাশগঞ্জ ও আলিগড়ের বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার সিকান্দ্রারাউ এলাকার রতিভানপুর গ্রামে ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে একটি প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছিল। তাতে জড়ো হয়েছিলেন লক্ষাধিক ভক্ত। এই সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন ধর্ম প্রচারক ভোলে বাবা। বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত সভা চলে। এরপর ভোলে বাবা ধর্মসভা শেষ হয়ে যাওয়ার পর অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যেতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ভোলে বাবার গাড়ি রাস্তায় ওঠার পর🥀েই শত শত ভক্ত তাঁর পায়ে ধুলো এবং আশীর্বাদ পেতে গাড়ির দিকে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্যান্ডেলে বের হওয়ার রাস্তা সংকীর্ণ থাকায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়। তাতে অনেকেই পড়ে গিয়ে পদপিষ্🐷ট হয়ে মারা যান।
আꦍবার অনেকꦐের মতে, প্যান্ডেলের চারিদিক ঘেরা ছিল। ভিতরে পাখার ব্যবস্থা ছিল না। তারপরে প্যান্ডেলের ভিতরে দম বন্ধ করা পরিস্থিতি হয়ে উঠেছিল। হাঁসফাঁস গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। প্যান্ডেলে দম বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই কারণে ধর্মসভা শেষ হতেই ঠেলাঠেলি শুরু হয়। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশ সৎসঙ্গ আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। এফআইআর অনুযায়ী, সভাস্থলে ৮০ হাজার লোকের জমায়েত হ🧔ওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই জায়গায় আড়াই লক্ষ মানুষকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আর সেই কারণে এমনটা ঘটেছে। যদিও এফআইআরে ভোলে বাবার নাম নেই।