PPF Account Options: চাকুরিজীবীদের কর সাশ্রয় এবং নিরাপদ🐻 বিনিয়োগের জন্য PPF অ্যাকাউন্ট সুপরিচিত। 💯কিন্তু এই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ম্যাচিওর করে গেলে তারপর কী হয়? অনেকেই কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেন না। সম্পূর্ণ টাকা নিয়ে ঠিক কী করা উচিত্, তাই নিয়ে দিশাহীন অনেকেই। সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন সেবি রেজিস্টার্ড বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ নিবেশ বসু।
সম্প্রতি মাধ্যমে পুরো বিষয়টি সহজভাবে তিনি ব্যাখা করেন। তাঁর কথায়, অনেকেই, এমনকি ব্যাঙ্ককর্মীরাও এই ব্যাপারটি স্পষ্ট করে জানেন না।൩ তাঁদের জন্যই এটি ব্যাখা করেছেন বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ।
সত্যি বলতে পিপিএফ ১৫ বছরের বিনিয়োগ ঠিক নয়। তার থেকে সামান্য বেশি। কেন? কারণ আপনার পিপিএফ-এর ১৫ বছর হওয়ার পরেই তা ম্য🔯াচিওর হয় না। বরং তার পরবর্তী যে পয়লা এপ্রিল, সেই তারিখে তা ম্যাচিওর হয়। অর্থাত্, ২৩ নভেম্বর ২০২২-এ পিপিএফ খুললে তার ১৫ 💜বছর পরের তারিখ হচ্ছে ২৩ নভেম্বর ২০৩৭। কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্ট ম্যাচিওর করবে ১ এপ্রিল ২০৩৮-এ।
১. ধরুন আপনার ১৫ বছর সম্পন্ন হল। এবার আপনি কী করবেন?
এটি সম্পূর্ণভাবে আপনার তখনকার চাহিদা,🌼 আর্থিক পরিস্থি🦹তির উপর নির্ভর করছে। আপনার কাছে ৩টি অপশন রয়েছে।
- প্রথমত, আপনি অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করে নিতে পারেন। পুরো টাকা পেয়ে যাবেন।
- দ্বিতীয়ত, আপনার ধরুন এখন টাকাটার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে আরও ৫ বছর এক্সটেন্ড করতে পারেন। এক্ষেত্রে আগের মতোই অ্যাকাউন্টে কনট্রিবিউট করা চালিয়ে যেতে পারবেন।
- তৃতীয়ত, আরও ৫ বছরের জন্যই এক্সটেন্ড করলেন। কিন্তু তাতে কোনও নতুন করে টাকা জমা করলেন না। তাতেও কোনও সমস্যা নেই। আরও পড়ুন: সেভিংস অ্যাকাউন্টে ৭% হারে সুদ দিয়ে থাকে দেশের এই ꦉ৯টি ব্যাঙ্ক! জানতেন আপনি?
২. অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা:
এক্ষেত্রে আপনি সুদ সমেত সম্পূর্ণ ম্যাচিওরড টাকা পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে অনেকেই জানেন না যে, এই টাকাটা আপনি একবারে না তুলে, ভাগে ভাগে তুলতে পারেন। ধরুন আপনার সব মিলিয়ে ১০ লক্ষ টাকা জমল। আপনি তাতে ১ মাস অন্ত🥂র ২ লক্ষ টাকা করে ৫ বারে তুলতে পারেন। তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু মাথায় রাখবেন, যা তোলার, তা ম্যাচিওর হওয়ার এক বছরের মধ্যেই তুলতে হবে।
৩. টাকা জমা করলেন না কিন্তু আরও ৫ বছর রাখলেন:
আপনি ধরুন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে ক🎶্লোজার দিলেন না। পাশাপাশি এক্সটেনশন-ও করলেন না। সেক্ষেত্রে নিজে থেকে💮ই এই নিয়ম প্রযোজ্য হয়। মনে রাখবেন, এক্ষেত্রে কিন্তু হঠাত্ ইচ্ছা হলে নতুন করে টাকা জমা করতে পারবেন না।
- এভাবে আপনি যতবার খুশি অ্যাকাউন্ট এক্সটেন্ড করতে পারবেন। যদিও তাতে কিন্তু টাকা জমা করা যাবে না আর।
- এই সময়পর্বে কিন্তু আপনার টাকা তোলার নিয়ে কোনও উর্ধ্বসীমাও নেই। আপনি যখন যেমন খুশি টাকা তুলতে পারবেন।
- এদিকে বাকি যে ব্যালেন্স পড়ে থাকবে, তাতে আগের মতোই সুদ জমতে থাকবে। যদিও এই টাকা তোলার সুবিধাটি বছরে একবারই পাবেন। তার বেশি নয়।
৪. আরও ৫ বছরের এক্সটেনশন করালেন- নতুন বিনিয়োগ-সহ:
এক্ষেত্রে আপনাকে আলাদা করে༒ এক্সটেনশনের জন্য আবেদন করতে হবে। তবেই এই সুবিধা পাবে﷽ন। ম্যাচিওরিটির ১ বছরের মধ্যেই কিন্তু এটি সারতে হবে।
- এই আলাদা করে আবেদন না করেই আগের মতো টাকা জমা করতে থাকলে কিন্তু লাভ নেই। এই নতুন জমা করা টাকায় কোনও সুদ পাবেন না। ৮০সি-র অধীনে কোনও কর ছাড়ও পাবেন না।
- বিনিয়োগ-সহ ৫ বছরের এক্সটেনশন করে ফেললে, সেক্ষেত্রে কিন্তু ফের আগের বিনিয়োগ-হীন এক্সটেনশনের অপশনে ফিরতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: কত টাকা বেতন পে🌼লে নিউ ইয়র্কে গিয়ে পোষাবে? হিসাব দেখলে অবাক হবেন!
এই ক্ষেত্রে আপনি প্রতি এক্সটেনশনে(৫ বছরের) মোট ব্যালেন্সের ৬০% পর্যন্ত তোলার সুযোগ পাবেন। অর্থাত্, আপনার যদি মোট অ্যামাউন্ট দাঁড়ায় ১০ লক্ষ টাকা, সেক্ষেত্রে আপনি ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন। এটি আপনি প্রতি বছর অল্প অল্🐷প করে ৫ বছর ধরেও তুলতে পারেন। সেক্ষেত্রে সমস্যা নেই। তবে এক অর্থবর্ষে একবারই সেই টাকা তোলা যাবে। তার বেশি নয়।