ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেস নেতৃত্বকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য গোয়ার রাজনৈতিক ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যবহার করেছিলেন। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন সে রাজ্যের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি কিরণ কান্দোলকর। কিরণ কান্দোলকর ♒যিনি গোয়া নির্বাচনের আগে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। বুধবার তিনি প্রশান্ত কিশোর এবং আইপ্যাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে গোয়ার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ভোটকুশলী ও তাঁর সংস্থা। তিনি অভিযোগ এনেছেন যে রাজ্য ইউনিটকে লক্ষাধিক টাকার বকেয়া বিল ধরিয়েছে আইপ্যাক।
কান্দোলকর বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি প্রশান্ত কিশোর গোয়ায় এসেছিলেন শুধুমাত্র কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য। আমরা বুঝতে পেরেছি যে তিনি গোয়াকে উদাহরণ হিসাবে ব্যবহার করেছেন। তিনি কংগ্রেসকে 🐬এটা বলতে এসেছিলেন যে - আপনি যদি আমাকে (দলে) না নেন, তবে আমি আপনার ভোটে ভাগ বসাব। গোয়াতে তিনি এটিকে তার প্রধান লক্ষ্য হিসাবে স্থাপন করেছিলেন। গোয়ায় বিরোধীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছিল এবং আজ ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে।’
তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, ‘প্রশান্ত কিশোর যখন আমাদের রাজনৈতিক আশ্বাস দিয়েছিলেন যে আমরা গোয়ার জন্য এটা করব... ওটা করব... আমরা প্রলুব্ধ হয়েছিলাম। আমিও এতে প্রলুব্ধ ও আকৃষ্ট হয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচনের তারিখ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পিকে এবং আইপ্যাক গোয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। নির্বাচনের আট দিন বাকি থাকাযর সময় থেকে তাদের আর দেখা য🐼ায়নি। গোয়ার জন্য তাদের যা পরিকল্পনা ছিল তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তিনি জাতীয় পর্যায়ে একজন বড় ভোয়কুশলী হতে পারেন, কিন্তু গোয়াতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি দাবি করতেই পারেন যে তিনি আইপ্যাকে𒐪র সঙ্গে যুক্ত নন, কিন্তু যদি তাই হয় তবে কেন তিনি আমার সাথে ১৭-১৮টি বৈঠক করেছেন? প্রত্যেক প্রার্থীই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে দেখা করেছেন। আমরা সবাই মিথ্যা বলতে পারি না। শেষের দিকে তিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি গোয়াতে ছিলেন না এবং তিনি একজন পর্যটক হিসাবে গোয়াতে ছিলেন। এই মিথ্যাগুলো এখন আমাদের তাড়া করতে এসেছে। আমি যখন সভাপতি ছিলাম তখন থেকে এই লোকেরা এসে আমাকে তাদের বিল পরিশোধ করতে বলত। তাদের কৃতকর্মের জন্য আমরা কেন কষ্ট পাব, সেই জন্যই আজ আমরা পদত্যাগ করছি।’