কংগ্রেস-প্রশান্ত কিশোরের সমীকরণ নিয়ে জল্পনা থেমেও থামছে না। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দুই পক্ষ একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করলেও শেষ পর্যন্ত তা ফলপ্রসূ হয়নি। জোর জল্পনা সত্ত্বেও হাত শিবিরে যোগ দেননি প্রশান্ত কিশোর। তবে কংগ্রেসে যোগ না দিলেও দলের পুনরুত্থানের নীল নকশা এঁকেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। ভোটকুশলীর ফোকাসে ছিল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে তিনি ৬০০ স্লাইডের একটি প্রেজেন্টেশনও পেশ করেছিলেন। সেই প্রেজেন্টেশনে কী ছিল? বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তা নিয়েই মুখ খোলেন ভোটকুশলী। (আরও পড়ুন: ‘পিকে আমাদের সঙ্গে’,༺ ভোটকুশ𓃲লীকে নিয়ে জল্পনায় ইতি টানলেন মমতা)
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘কংগ্রেস কীভাবে তার গৌরবময় দিনগুলি ফিরে পাবে, সেটাই ছিল আমার ব্লুপ্রিন্টে। এটা একটি বা দুটো নির্বাচনে জেতার বিষয়ে ছিল না। এটি ছিল কংগ্রেসকে দেশের একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে পুনরুত্থাপিত করার বিষয়ে। তাতেই সহায়তা করার জন্য তৈরি সেই নীল নকশা।’ প্রশান্তের কথায়, ‘মোদীকে কীভাবে হারাতে হয় সেটা নিয়ে আমার প্রেজেন্টেশন ছিল না, কীভাবে ভারতকে জিততে হয় সেটা নিয়েই আমার প্রেজেন্টেশন ছিল। উভয়ের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য আছে। কীভাবে বিজেপিকে পর🎃াজিত করা যায় বা কোনও নির্দিষ্ট রাজ্যের নির্বাচনে জিততে হয় তা আমার প্রেজেন্টেশনের ভিত্তি ছিল না।’
ভারতীয় রাজনীতিতে এখন অন্যতম আলোচ্য নাম হল প্রশান্ত কিশোর। সেই প্রশান্ত কিশোর ২০২৪-এর লড়াইয়ে কোনদিকে? এই প্রশ্নে এখন সরগরম দিল্লির রাজনীতি। উল্লেখ্য, বিꦛগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেস যোগ নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। দফায় দফায় পিকে বৈঠকও করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী𒁏 সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। তবে শেষমেষ দুই তরফেই জানিয়ে দেওয়া হয় যে পিকে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না। এর নেপথ্যে প্রশান্তের ‘পেশা’ বড় কারণ বলে মনে করেছিলেন অনেকেই।