আজ গণেশ চতুর্থীর দিন পুরনো সংসদ ভবন ছেড়ে নয়া সংসদ ভবনে পা রেখেছেন সাংসদরা। এর আগে পুরনো ভবনের সেন্ট্রাল হলে যৌথ অধিবেশন হয়। সেখানে ভাষণ রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানেই পুরনো ভবনের নয়া নাম রাখার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রীনিজের ভাষণের শেষ পর্বে বলেন, 'আমার একটি পরামর্শ আছে। এখন আমরা যখন নতুন সংসদে যাচ্ছি, তখন এই পুরনো সংসদ ভবনের মর্যাদা যেন কখনই ক্ষুণ্ণ না হয়। এটাকে শুধু পুরনো সংসদ ভবনের মতো ফেলে রাখা উচিত নয়। তাই, আমি অনুরোধ করছি... আপনারা যদি একমত হন তবে এটিকে 'সংবিধান সদন' নাম দেওয়া হোক।' (আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের নাম থেকেও কি মুছতে চলেছে 'ইন্ডিয়া'? গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে 'চমক')
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বলেন, 'আজ নতুন সংসদ ভবনে আমাদের নতুন ভবিষ্যতের সূচনা হতে চলেছে। উন্নত ভারতের সংকল্প ♎পূরণের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আজ আমরা নতুন ভবনে যাচ্ছি।' সঙ্গে পুরনো ভবনে নেওয়া ঐহাসিক সব সিদ্ধান্তকে স্মরণ করে মোদী বলেন, 'এই সংসদের কꦦারণে মুসলিম মা-বোনেরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। এখানেই ঐক্যবদ্ধভাবে তিন তালাক বিরোধী আইন পাশ হয়েছে।' এরপর এই সংসদ ভবনে তাঁর সরকারের সময়কালে নেওয়া আরও সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'গত কয়েক বছরে এই সংসদে তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদেরও ন্যায়বিচারের আইন পাশ হয়েছে। বিশেষ প্রতিবন্ধীদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নিশ্চিত করতেও আইন পাশ হয়েছে এখানে। এটা আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা এই সংসদে থেকেই ৩৭০ ধারা বাতিল করার সুযোগ পেয়েছি।'
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, 'সংসদে পাশ হওয়া প্রতিটি আইন, সংসদে হওয়া প্রতিটি আলোচনা ভারতীয়দের আকাঙ্ক্ষাকে উৎসাহিত করবে। এটা আমাদের দায়িত্ব এবং প্রত্যেক ভারতীয়ের প্রত্যাশা। এখানে যত সংস্কারই করা হোক না কেন, ভারতীয় আকাঙ্খাই আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। কেউ কি কখনও ছোট ক্যানভাসে বড় ছবি তুলে ধরতে পারে? আমরা যেমন একটি ছোট ক্যানভাসে একটি বড় ছবি তুলে ধরতে পারি না, ঠিক একইভাবে, আমরা যদি আমাদের চিন্তা♚র ক্যানভাসকে বড় করতে না পারি, তবে আমরা একটি মহান ভারতের ছবি আঁকতে সক্ষম হব না।'
এদিকে মোদী আজ বলেন, 'অমৃত কালের ২৫ বছরে ভারতকে আরও বড় ক্যানভাসে কাজ 💫করতে হবে। আমাদের ছোট ছোট সমস্যায় আটকা পড়ার সময় শেষ। প্রথমত, আমাদের আত্মনির্ভর ভারত হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করতে হবে... এটা সময়ের প্রয়োজন, এটা প্রত্যেকের কর্তব্য। কোনও দলগত রাজনীতি এর পথে আসে না। শুধু দেশের জন্য হৃদয় দরকার।' তাঁর কথায়, 'আমি লাল কেল্লা থেকে বলেছিলাম - এটাই সময়, এটাই সঠিক সময়। আমরা যদি একের পর এক ঘটনা দেখি, তাদের প্রত্যেকটিই এর সাক্ষ্য দেয়। ভারত আজ নতুন চেতনায় জেগে উঠেছে। ভারত এক নতুন শক্তিতে ভরপুর। এই চেতনা ও শক্তি কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নকে সংকল্পে পরিণত করতে পারে এবং সেই সংকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।' চন্দ্রযানের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতের জন্য সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা শুধুমাত্র রাজনৈতিক সুবিধার কথা চিন্তা করে নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ রাখতে পারি নꦯা... জ্ঞান এবং উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত আমাদের। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর, আমাদের তরুণরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে অনুপ্রাণিত হয়েছে। আমাদের এই সুযোগ হাতছাড়া করলে চলবে না।'