পঞ্জাবে ধর্মীয় অবমাননার বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। এহেন পরিস্থিতিতে শি꧃খ ধর্মের অবমাননার অভিযোগ উঠলেই তড়িঘড়ি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় সেরাজ্যে। সম্প্রতি ঠিক এমনটাই হয়েছিল পঞ্জাবের মরিন্দায়। সেখানে এক গুরুদ্বারে ঢুকে গ্রন্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তর নাম জসবীর সিং ওরফে জস্সি। তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃত জসবীরকে রাখা হয়েছিল মানসা কারাগারে। গতকাল সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন জসবীর। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাসপাতাল꧟ে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই আবহে এই মৃত্যুর নেপথ্যে কোনও চক্রান্ত রয়েছে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
এদিকে পুলিশ এখনও নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেনি যে জসবীর কীভাবে মারা গিয়েছে। তবে জসবীরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানসার এসএসপি নানক সিং। তিনি সংবাদমাধ্য🌺মকে বলেছেন, 'মরিন্দায় ধর্মীয় অবমাননার ঘটনায় অভিযুক্ত জসবীরের মৃত্যু হয়েছে মানসা সিভিল হাসপাতালে।' এর আগে গত ২৭ এপ্রিল রূপনগর আদালতে জসবীরকে আক্রমণ করতে চেয়েছিলেন এক আইনজীবী। পরে জসবীরকে নিরাপত্তাজনিত কারণেই মানসা কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
জসবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, গুরুদ্বারে প্রবেশ করে দুই গ্রন্থীকে মারধর করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি গুরু গ্রন্থ সাহিবের অবমাননাও করেছিলেন তিনি। তাঁর এই কাণ্ডের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গুরুদ্বারের গর্ভে প্রবেশ করেন জসবীর। রেলিং পার করে সেখানে গিয়ে দুই গ্রন্থীকে প্রহার করেন তিনি। গুরু গ্রন্থ সাহিবের🗹 অপমানও করেন তিনি। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। জসবীরকে মানসা কারাগারে রাখা হয়েছিল। গতকাল সকালে নিশ্বাস নিতে সমস্যা হয় জসবীরের। সমস্যার কথা জেল কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি। এরপর দুপুর নাগার মানসা সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জসবীরকে। সন্ধ্যায় জসবীরের মৃত্যু হয়।