চলতি বছরে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনের পরই অনুষ্ঠিত হবে আগামী কোয়াড বৈঠক। উল্লেখ্য, আজই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ঘণ্টা খানেকের সেই বৈঠকের পরই পরবর্তী কোয়াড বৈঠকের কথা ঘোষণা করা হয়। এদিন বাইডেনকে মে মাসে জাপানে আমন্ত্রণ জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা। উল্লেখ্য, এর আগের কোয়াড শীর্ষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল গতবছর ২৪ সেপ্টেম্বর। আমেরিকায় সেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবং নভেম্বরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে জাপানে পরবর্তী কোয়াড বৈঠক হবে। এই আবহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জাপান সফরে গেলে সেই সময়ই কোয়াড শীর্ষ বৈঠক হবে বলে ঘোষণা করা হল আজকে। তবে আজকে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি বৈঠকের। সূত্রের খবর, অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন সম্পন্ন হলে পরে এই বৈঠক হবে জাপানে।জানা গিয়েছে, পরবর্তী কোয়াড বৈঠকের মুখ্য আলোচ্য বিষয় হবে, উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক, কোভিড অতিমারী, জলবায়ু, পরিচ্ছন্ন শক্তি এবং অবকাঠামো। বৈঠকে রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি চার দেশের বিদেশমন্ত্রীরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে আজকে বাইডেন-কিশিদা বৈঠকের বিষয়ে অবগত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে চিনা হুমকির মুখে আমেরিকা চাইছে যাতে জাপান তাদের প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বাড়ায়। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই আমেরিকার চোখ রাঙানির জেরে প্রতিরক্ষা খাতে খরচ সীমিত পর্যায়ে করতে পেরেছিল জাপান। তবে চিনের বাড়বাড়ন্তের আবহে দীর্ঘ কয়েক দশকের নীতিতে বদল আসছে।জাপানের সেনকাকু দ্বীপের দিকে চিনের নজর পড়েছে সম্প্রতি। আমেরিকার তরফে এদিন বাইডেনকে জাপানকে অভয় প্রদান করে জানান, চিনের বিরুদ্ধে জাপানের পাশে দাঁড়াবে মার্কিন মুলুক। পাশাপাশি এদিন অস্ট্রেলিয়া, নিউডিল্যান্ড, ফ্রান্সের সঙ্গে মিলে জাপানে ত্রাণ পাঠানোর বিষয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয় এদিন দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে।