সারাদিনে দাঁড়ায় একটাই ট্রেন। আর যাত্রী সংখ্যা? মাত্র দুই। গত বছর খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে স্টেশনের উদ্বোধন করেছিলেন, তারই এরকম অবস্থা উঠে এল তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই)।গত বছর ১৫ জানুয়ারি ওড়িশার বিচ্ছুপল্লি স্টেশনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ধুমধাম করে উদ্বোধন হলেও সারাদিনে মাত্র দু'বার ট্রেন দাঁড়ায়। তাও একটিই ট্রেন - বোলাঙ্গির ও বিচ্ছুপল্লির মধ্যে চলা একটি প্যাসেঞ্জার। এ নিয়ে গত মাসে আরটিআই দাখিল করেন হেমন্ত পণ্ডা। জবাবে পূর্ব উপকূলীয় রেল জানায়, বিচ্ছুপল্লি স্টেশনে প্রতিদিন দু'জন যাত্রী হয়। রেলের আয় হয় ২০ টাকা। যদিও সেজন্য প্রতিদিন রেলের কত খরচ হয়, তা জানানো হয়নি।অথচ বোলাঙ্গির ও বিচ্ছুপল্লি স্টেশনের মধ্যে ১৬.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন তৈরি করতে ১১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। যেখানে ২০১৮-১৯ সালে রেলের অপারেটিং রেশিয়ো (১০০ টাকা আয় করতে রেলের যত টাকা খরচ হয়) ৯৭.৩ শতাংশ, সেখানে একম অলাভজনক স্টেশন কেন তৈরি করা হল? কতজন যাত্রী হতে পারে তা কি রেলের জানা ছিল না ?যদিও পূর্ব উপকূলীয় রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জেপি মিশ্র জানান, আগামী বছরই সোনেরপুর স্টেশনের সঙ্গে বোলাঙ্গির-বিচ্ছুপল্লি স্টেশন যুক্ত হবে। তারপরই লাভ করবে রেল। মিশ্রের কথায়, 'যোগাযোগ হল মূল বিষয়। বিচ্ছুপল্লীর মানুষ সম্বলপুর, তিতলাগড় ও ভওয়ান্তিপটনাতে যেতে চান। সোনেপুর ও তিতলাগ়ড়ের মধ্যে রেললাইনের ডবলিংয়ের কাজ শেষ হলেই আমরা আরও যাত্রী পাব।'