‘ভারতীয় সামরিক কমান্ডারদের সময়মত হস্তক্ষেপের কারণে পিএলএ সৈন্যরা তাদের অবস্থানে ফিরে যায় গত ৯ ডিসেম্বর।’ সংসদে বিবৃতি পেশ করে এমনই জানালেন প্রতিরক্ไষামন্ত্রী রাไজনাথ সিং। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াঙে ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষ বেঁধেছিল। এই নিয়ে বিরোধীরা সরকারের তরফে বিবৃতি দাবি করেছিল। এই আবহে আজ চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনাথ সিং। এরপরই দুপুর ১২টার সময় লোকসভায় এই নিয়ে বিবৃতি পেশ করেন রাজনাথ।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী এদিন সংসদে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দেশের সেনাই জখম হয়েছেন। তবে তিনি জানান, ভারতীয় সেনার কোনও জওয়ান চিনা হামলায় শহিদ হননি বা গুরুতর ভাবে জখম হননি। পাশাপাশি রাজনাথ সিং সংসদে আজ এও জানান, ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা পিএলএ-র ফ্ল্যাগ বৈঠক হয় ১১ ডিসেম্বর। সেই বৈঠকে তাওয়াং সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনা হয় দুই দেশের সেনার। ভারতের তরফে সেই বৈঠকে চিনকে কড়া ভাষায় বলা হয় যাতে এই ধরনের আগ্রাসী পদক্ষেপ যেন আর না নেওয়া হয়।&🤪nbsp;
এদিন রাজনাথ বলেন, ‘আমি এই হাউসকে জানাতে চাই যে আমাদের কোনও সৈন্য এই সংঘর্ষে মারা যায়নি এবং কেউ গুরুতর জখম হয়নি। ভারতীয় সামরিক কমান্ডারদের সময়মত হস্তক্ষেপের কারণে পিএলএ সৈন্যরা তাদের জায়গায় ফিরে যায়। ঘটনার পরে এলাকার স্থানীয় কমান্ডার ১১ ডিসেম্বর চিনা প্রতিপক্ষের সঙ্গে একটি পতাকা বৈঠক করেন এবং ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করেন। চিনা পক্ষকে এই ধরনের পদক্ষেপ করতে বারণ করা হয়েছে এবং সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে। বিষয়টি চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়েও তোলা হয়েছে। আমি হাউসকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের বাহিনী আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এব൩ং এর বিরুদ্ধে যে কোনও প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে সর্বদা প্রস্তুত। আমি নিশ্চিত এই হাউস আমাদের বাহিনীর বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য এক কণ্ঠের পক্ষে থাকবে।’
উল্লেখ্য, গতকালই 🔜;ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে সংঘাতে জড়ায় ভারতীয় ও চিনা সেনা। প্রায় ৩০০ সৈন্যকে নিয়ে তাওয়াঙের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এসেছিল চিন। চিনা আগ্রাসনের কড়া জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। এই সংঘাতের জেরে কয়েকজন ভারতীয় সেনা এবং চিনা সেনার কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভারতের তুলনায় চিনের বাহিনীতে আহতের সংখ্যা অনেক বেশি। সূত্রের খবর, সীমান্তে ভারতের প্রস্তুতি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিল চিন। এদিকে শুক্রবারের সংঘাতের ঘটনা ভারতের যে জওয়ানরা আহত হয়েছেন, তাঁদের গুয়াহাটি সামরিক হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।