শাংহাই কো-অপারেশন অর্গনাইজেশনের বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরব ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এসসিও-র সকল সদস্য দেশকে একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান রাজনাথ। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসসিও-র সচিব ঝ্যাং মিং, চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগু। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে অংশ গ্রহণ করে𓂃ন। এই আবহে বৈঠকে রাজনাথ বলেন, 'আমাদের উচিত সম্মিলিত ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা। যদি শাংহাই কো-অপারেশন অর্গনাইজেশনকে আরও শক্তিশালী করতে হয়, তাহলে আমাদের একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ক্রাউডফান্ডিংয়ের মতো নতুন নতুন উপায়ে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করছে।'
জানা গিয়েছে, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন ভারত, চিন, রাশিয়া এবং অন্যান্য সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। এদিকে রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়েও পর্যালোচনা হয়। রাজনাথ সিং বৈঠকে বলেন, 'এই ফোরামের মাধ্যমে আমরা একে অপরের উদ্বেগের বিষয়ে জানতে পারি, মত বি𒈔নিময় করতে পারি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা প্ল্যাটফর✤্ম। এখান থেকেই আমরা আমাদের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে অবগত হতে পারি এবং এর সমাধানসূত্র বের করতে পারি।' ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, 'এসসিও-কে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হিসেবে দেখে ভারত। এর মাধ্যমে আমরা সবাই প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সাহায্য আদান-প্রদান করতে পারি। আমরা এই সংগঠনের সদস্য দেশগুলির মধ্যে বিশ্বা সএবং সহযোগিতার বাতাবরণ তৈরি করতে চাই।'
রাজনাথ সিং বৈঠকে জানান, এসসিও-কে আরও শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর ভারত। এসসিও-র সদস্য দেশগুলির সমস্যা মোকাবিলা করতে এবং সংগঠনের নীতি কার্যকর করতে চায় ভারত। রাজনাথ বলেন, 'শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল অঞ্চল গড়ে তুলতে আমাদের নির্দিষ্ট ইস্যুর ওপর মনোনিবেশ করতে হবে। এর ফল♋ে প্রতিটি সদস্য দেশের জনগণের জীবনযাপনের মান আরও উন্নত হবে।' এর আগে গতকাল ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল লি শাংফু। সেই বৈঠকে রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি নির্ভর করছে সীমান༒্তের শান্তি ও স্থিতাবস্থা কতটা বজায় থাকে তার উপর। রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও দায়বদ্ধতার মাধ্যমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার যাবতীয় ইস্যুকে মেটানো প্রয়োজন। যে চুক্তি বর্তমানে রয়েছে তা ভঙ্গ করা হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরবে।