এবার সরাসরি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইন্ডিয়া জোট তাতে তো সায় দিয়েছে। এমনকী কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সদস্য অজয় মাকেন জানান, এখানে বিরোধীদের জন্য সব দরজা খোলা রয়েছে। ওই চেয়ারে বসে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হচ্ছে। এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি স🎃মস্ত সংসদীয় আইন খতিয়ে দেখে এই প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করবে। সুতরাং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে তা বোঝা ♏যাচ্ছে। ইন্ডিয়া জোট ধনখড়ের বিরুদ্ধে রাজ্যসভার ৬৭ ধারার অধীনে ইমপিচমেন্ট মোশন আনার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার বাইরে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার প্রমোদ তিওয়ারি এবং অজয়𒅌 মাকেন অভিযোগ করেছেন, উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় পক্ষপাতদুষ্ট। অজয় মাকেন বলেন, ‘আমরা নীরব দর্শক হয়ে গণতন্ত্রের হত্যা দেখতে পারব না।’ আর অনুচ্ছেদ ৬৭ (বি) বলা হয়েছে যে, উপরাষ্ট্রপতিকে রাজ্যসভার সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের দ্বারা গৃহীত একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে এবং তাতে লোকসভা দ্বারা অভিশংসন অনাস্থা প্রস্তাবে সম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর কার্যকাল থেকে অপসারণ করা যেতে পারে। এই প্রস্তাব আনার জন্য ১৪ দিন আগে নোটিশ দিতে হয়।
আরও পড়ুন: ওড়িশা উপকূলে নামানো হয়েছে ১০টি ইন্টারস❀েপ্টর꧑ বোট, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে জলপথে বাহিনী
রাজ্যস༒ভার নেতা তথা বিজেপির মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ জমা দিল বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। বিরোধীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেছিলেন গোয়েল। তবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ আনার বিষয়টি নিয়ে সতর্ক ভাবে পা ফেলতে চাইছে ইন্ডিয়া জোট। অজয় মাকেনের বক্তব্য, ‘সং𒅌বিধান এবং আইনে যতরকম সুযোগ আছে সব আমাদের জন্য খোলা রয়েছে। আর তা ব্যবহার করে মানুষের কণ্ঠস্বর সংসদে তুলতেই হবে।’ এই অনাস্থা প্রস্তাবের খসড়া তৈরির জন্য যে কমিটি তৈরি হয়েছে সেখানে রয়েছেন—জয়রাম রমেশ, সুখেন্দুশেখর রায়, বন্দনা চহ্বান, রাম গোপাল যাদব, তিরুচি শিবা এবং করিম।
এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোর নেই জানা সত্ত্বেও ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে এই নোটিশ দেওয়ার প্রস্তুতির কাজ করা হয়েছিল। সোমবার তাঁরা নোটিশ জমা দেবেন বলেও ঠিক হয়। কিন্তু শুক্রবারেই রাজ্যসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। এদিন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চনের বক্তব্য, ‘আমি একজন শিল্পী। বডি ল্যাঙ্গোয়েজ বুঝি। অভিব্যক্তি বুঝতে পারি। ꧙ক্ষমা করবেন, কিন্তু আপনার কথার ‘টোন’ ঠিক নয়। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক নাদিমূল হকের কথায়, ‘সংসদের অন্দরে বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের দফতরে বসেই ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে একজোট হয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের ইমপিচমেন্টের জন্য প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করা হয়েছে।’ আর ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, ‘এই নিয়ে ১১বার এমন ঘটল। আগেই অধিবেশেন শেষ করে দিল সরকার। এই সরকার সংসদ থেকে পালাতে চায়।’