এক সন্তান। সে-ও কর্মসূত্রে বা বিয়ের পর ভিন রাজ্যে। বৃদ্ধ বয়সে তাই একাই থাকছেন অনেক বাবা-মা। কিন্তু তাঁদের দেখভাল করবে কে? এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়টি নিয়েই ভেবেছিলেন শান্তনু নাইডু। আর সেই কারণেই চালু করলেন 'গুডফেলোজ'(Goodfellows)। প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গ-সহায়তা প্রদান করবে তাঁর সংস্থা। এমন অভিনব ভাবনা অবাক করেছে রতন টাটাকেও। শান্তনুর স্টার্টআপ-এ বিনিয়োগ করেছেন তিনি।বছর ২৫-এর শান্তনু টাটা-র দফতরে জেনারেল ম্যানেজারের পদে রয়েছেন। রতন টাটার সহায়ক হিসাবে কাজ করেন তিনি। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী পড়ুয়া শান্তনু।গুডফেলোর লঞ্চে, রতন টাটা বলেন, যতক্ষণ না একা থাকছেন, ততক্ষণ বুঝতেই পারবেন না একাকীত্ব কী জিনিস। আসলে বৃদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কেউ সেই নিয়ে ভাবেই না। নিজের সহায়ক শান্তনুর প্রশংসা করে তিনি বলেন, অফিসের বাইরের সময়টাও ও সঠিকভাবে ব্যয় করেছে।রতন টাটার মতো কিংবদন্তির সহায়ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনিতেই বেশ জনপ্রিয় শান্তনু। এদিন তিনি বলেন, রতন টাটা আমার বস, পরামর্শদাতা এবং বন্ধু। ওনার সাহায্য অমূল্য। এই ভাবনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি সাহায্য করবেন।শান্তনু বলেন, আমাদের দেশে প্রায় ৫ কোটি বৃদ্ধ মানুষ আছেন। একা। দেখভাল করা, সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ নেই। তাঁদের পাশে দাঁড়াবে গুডফেলোজ।গুডফেলোর কাজটা ঠিক কী?গুডফেলো কর্মী হিসাবে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের নিয়োগ করবে। এমন কর্মীদের, যাঁদের মধ্যে সহানুভূতি এবং আবেগ অনুভব করার ক্ষমতা বেশি। প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গী হিসেবে তাঁরা কাজ করবেন। কোনও কাজে সাহায্য করা, প্রাত্যহিক কাজে সহায়তা কিংবা নেহাত্ সময় কাটানো, বয়স্কদের সঙ্গ দেবেন এই অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা। সাহায্য বলতে সেটা চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যাওয়াও হতে পারে, আবার বাড়িতে বসে খবরের কাগজ পড়ে শোনানোও হতে পারে।বর্তমানে মডেলটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। গত ছয় মাস ধরে মুম্বইতে ২০ জন প্রবীণ ব্যক্তিকে নিয়ে কাজ চলছে। আগামী পর্যায়ে পুনে, চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুতে পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। রতন টাটা বলেন, এই পরিষেবা কার্যকর হলে তা কিছু মানুষের জীবনটাই বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এমন কিছুর অংশ হতে পেরে তিনি আনন্দিত।