থানায় থেকে বাজেয়াপ্ত মদ সাবাড় করার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে অভ꧑িযুক্ত কোনও মানুষ নয়, ইঁদুরের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ তুলল খোদ পুলিশ। শুধু তাই নয়, এই অপ🍬রাধে পুলিশ একটি ইঁদুরকে গ্রেফতারও করল। এমনই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। এমনকী গ্রেফতারের পর ইঁদুরকে আদালতে পেশ করল পুলিশ। পুলিশের এমন কাণ্ডে কার্যত হতবাক বিচারপতি থেকে শুরু করে সকলেই। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় ক🌜য়েকশো কোটি টাকা উপার্জন আবগারি দফতরের, উঠল মদ্যপানের ফোয়ারা
ﷺজানা গিয়েছে, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলার। একটি থানার পুলিশ প্রচুর পরিমাণে মদ বাজেয়াপ্ত করেছিল। এরপর বাজেয়াপ্ত হওয়া প্লাস্টিকের বোতলে প্যাক করা অবৈধ মদ থানার মালখানায় রেখেছিল। তবে বাজেয়াপ্ত করা মদ আদালতে হাজির করার সময় এলেই ঘটে বিপত্তি। পুলিশ দেখতে পায়, অন্তত ৬০ বোতল খালি হয়ে গিয়েছে। তাই পুলিশের অনুমান, ইঁদুরে মদের বোতল ফুটো করে দিয়েছিল। সে কারণে বোতলগুলি ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল।
যুক্তিতে পুলিশের তরফে জানানো হয়, যেখানে বাজেয়াপ্ত মদ মꦰজু꧂ত রাখা হয়েছিল সেই ভবনটি বহু পুরানো। সেখানে প্রচুর ইঁদুরের উৎপাত। এর আগে থানার অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করে দিয়েছে ইঁদুর। নিজেদের যুক্তির স্বপক্ষে পুলিশ একটি ইঁদুরকে ধরেছে। ওই ইঁদুরকে আদালতে প্রমাণ হিসেবে আদালতে পেশ করে পুলিশ। তবে মদের পার্টিতে কত ইঁদুর জড়িত ছিল তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গিয়েছে, যে𝄹 মামলায় মদের বোতল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেই মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন। দ্রুত বাজেয়াপ্ত মদ আদালতে পেশ করার নির্দেশ পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু, মদ না পাওয়ায় এমন যুক্তি খাড়া করছে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে পুলিশই মদ খেয়ে নেয়নি তো? সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, ইঁদুরের বিরুদ্ধে থানায় মদ খাওয়ার অভিযোগ এই প্রথম নয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে জেলা আদালতে পুলিশের তরফে এই যুক্তি দেওয়া হলে বিচারক থেকে শুরু করে আইনজীবী এবং আদালতের অন্যান্য কর্মীরা কার্যত হেসে ফেলেন। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে উত্তর প্রদেশের বেরেলির ক্যান্টনমেন্ট থানার মালখানায় রাখা ১ হাজার লিটারের বেশি বাজেয়াপ্ত মদ সাবাড় হয়ে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে স্থানীয় থানার পুলিশ ইঁদুরকে মদ খাওয়ার জন্য দায়ী করেছিল।