স্লোগান ছিল '৪০০ পার'। মিলেছে মাত্র ২৪০। এই আবহে জোট শরিকদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে নয়া সরকার গঠন করেছে বিজেপি। তবে এই ফলাফলের জেরে দলের 'অপরাজেয় ভাবমূর্তি'তে লেগেছে জোর ধাক্কা। তাই হেরে গিয়েও উৎফুল্ল বিরোধীরা। এই আবহে বিজেপিতে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। আর এর ইঙ্গিত মিলেছে মোদী মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেই। রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডাকে। এই আবহে বিজেপির 'এক ব্যক্তি, এক পদ' নীতিতে সাংগঠিক রদবদলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এদিকে বাংলা থেকে সুকান্ত মজুমদারও এবার মন্ত্রী হয়েছেন। তাই রাজ্যেও সভাপতি পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, সভাপতি হিসেবে নড্ডার মেয়াদ জানুয়ারিতে শেষ হলেও লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে জাতীয় কর্মসমিতি তাঁর মেয়াদ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছিল। (আরও পড়ুন: বাড়বে ইনসেন্টিভ! ভোট মিটতেই বদলে যাবে সরকা♐রি কর্মীদের বেতন কাঠামো?)
আরও পড়ুন: বেতন বা ভাতা আটকে রাখা কি প্রতারণামূলক অপরাধ? বড় পর্যবেক্ষণ আদা﷽লতের
উল্লে𝕴খ্য, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রথম মোদী সরকার জমানাতেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন জেপি নড্ডা। তখন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপরে। এরপর সভাপতি হিসেবে অমিত শাহের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে দলের কার্যকরী সভাপতি হয়েছিলেন নড্ডা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে পূর্ণ সময়ের জন্য দলের প্রধান হিসাবে দায়িত্বে আসেন নড্ডা। তবে এবার ফের তিনি মোদী মন্ত্রিসভায় শামিল হলেন। এই আবহে বিজেপি নয়া সর্বভারতীয় সভপতি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই আবহে দলের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ, প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ ওমপ্রকাশ মাথুর এবং দলের ওবিসি মোর্চা প্রধান কে লক্ষ্মণের নাম ঘুরপাক খাচ্ছে সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে। এদিকে এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের শীর্ষ স্থানীয় এক নেতা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় 💃নির্বাচন আছে সামনে। এই আবহে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে কিছু পরিবর্তন আসবে। অনুরাগ ঠাকুর ও স্মৃতি ইরানিকে দলের পদ দেওয়া হতে পারে।'