খাতায়কলমে ৮০০ কোটি টাকা খোয়ালেন রেখা ঝুনঝুনওয়ালা। টাইটান কোম্পানি লিমিটেডের বিনিয়োগের জন্য সেই লোকসানের মুখে পড়েছেন তিনি। যিনি ভারতের ওয়ারেন বাফেট তথা প্রয়াত রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার স্ত্রী। আসলে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, টাটা গ্রুপের সংস্থা টাইটান কোম্পানি লিমিটেডে তা👍ঁর ৫.৩৫ শতাংশ শেয়ার আছে। শুক্রবার বাজার বন্ধের নিরিখে সেটার মূল্য ছিল ১৬,৭৯২ কোটি টাকা। আর ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে টাইটানের ‘রেজাল্ট’ প্রকাশিত হওয়ার পরেই শেয়ার বাজারে পতন হয় টাটা গ্রুপের সংস্থার। তার জেরেই লোকসানের মুখে পড়েন রেখা।
সোমবার বাজার খোলার পরে টাইটানের বাজারি মূলধনের অঙ্কটা তিন লাখ কোটি টাকার নীচে পড়ে গিয়েছে। শুক্রবার যে অঙ্কটা ৩,১৩,৮৬৮ টাকা ছিল, সেটা ২,৯৮,৮১৫ টাকায় নেমে যায়। আর সেটা𒅌র কারণে খাতায়কলমে টাইটানে তিনি ধাক্কা খান। তাঁর শেয়ারের মূল্য ৮০৫ কোটি টাকা কমে ১৫,৯৮৬ কোটি টাকায় ঠেকেছে।
টাইটানের গ্রুপের শেয়ারের উত্থান-পতন (সোমবার)
সো🐲মবার বাজার খোলার সময় বিএসইতে (সাবে🐻ক বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ) টাইটানের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩,৪৮১ টাকা। শুক্রবার সেটা ৩,৫৩৫.৪ টাকায় ছিল। সেখান থেকে সোমবার একটা সময় টাইটানের প্রতিটি শেয়ারের দাম ৩,২৫৭.০৫ টাকায় নেমে গিয়েছিল। সর্বোচ্চ ৩,৪৮৫ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল টাইটানের প্রতিটি শেয়ারের দাম।
সেই উত্থান-পতনের পরে বাজার বন্ধের সময় টাটা গ্রুপের টাইটান 🍰কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩,২৮৪.৯ টাকা। অর্থাৎ ২৫০.৫ টাকা কমেছে প্রতিটি শেয়ারের দাম। শতাংশের নিরিখে পতনের অঙ্কটা হল ৭.০৯। যে সংস্থার ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তর হল ২,৬৬৬,৫৫ টাকা। যে ঘটনা ঘটেছিল ২০২৩ সালের ৫ মে।
এই মুহূর্তে কি টাইটানের শেয়ার কেনা উচিত?
শেয়ার বাজারে পতনের মুখে পড়লেও টাইটানের উপরে আস্থা রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। টাইটানের 'টার্গেট প্রাইস' ৪,১০০ টাকা ধরেছে মোতিꦍলাল ওসওয়াল ফিনান্সিয়াল সা🍬র্ভিসেস। একইভাবে টাইটানের শেয়ার কেনার পক্ষেই মত দিয়েছে জেএম ফিনান্সিয়াল। তবে 'টার্গেট প্রাইস' ৩,৯৪০ টাকা কমিয়ে ৩,৮২৫ টাকা করা হয়েছে।