আবারও রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫.৯ শতাংশ করা হচ্ছে। এই হার বৃদ্ধির জেরে ইএমআইয়ের জন্য আমজনতাকে বেশি টাকা গুনতে হতে পারে। এদিন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘গত দুই বছরে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে। এদিকে ই উক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিরূপ প্রভাব ফেলেছে বিশ্ব অর্থনীতির উপরে। তবে এই ধাক্কা সামাল দিতে সমর্থ হয়েছে ভারত। যদিও এর প্রভাব পড়েছে ভারতের উপরও।’লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে চলতি বছর একাধিকবার রেপো রেট বাড়িয়েছে আরবিআই। এই আবহে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে ফের রেপো রেট বৃদ্ধি করা হতে পারে অনুমান করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর জানান, ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হচ্ছে রেপো রেট। অর্থাৎ, এবার থেকে ৫.৯ শতাংশ হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।উল্লেখ্য, এর আগে দেশে করোনা অতিমারীর প্রকোপ দেখা যাওয়ার পর ১১৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছিল রেপো রেট। মুদ্রাস্ফীতি ও নগদ প্রবাহের ভারসাম্য বজায় রাখতে রেপো রেট ও রিভার্স রেট কমানো হয়েছিল। এরপর থেকে টানা বেশ কয়েক দফা রেপো রেট বদল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আরবিআই। তবে দেশের বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির হারের কথা মাথায় রেখে লাগাতার রেপো রেট বৃদ্ধি করে চলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এই নিয়ে বিগত ৫ মাসে ১. ৯০ শতাংশ বাড়ল রেপো রেট। টানা চতুর্থবার রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এদিকে রেপো রেট বৃদ্ধির জেরে ব্যাঙ্কগুলি ঋণের সুদের হার বাড়াতে পারে বলে মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এর আগেও রেপো রেট বৃদ্ধির পর এইচডিএফসি, আইসিআইসিআই-এর মতো বেসরকারি ব্যাঙ্ক ইএমআই বাড়িয়ে মধ্যবিত্তের উপর চাপ তৈরি করেছিল। এই পরিস্থিতি উৎসবের মরশুমে ফের একবার ব্যাঙ্কগুলি ইএমআই-এর খরচ বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।