𝐆 বেজিংয়ের কাছেই এক পেল্লায় মিলিটারি কমান্ড সেন্টার নির্মাণ করছে চিন! সূত্রের দাবি, সেই স্থাপত্যের আকার নাকি আমেরিকার পেন্টাগনের প্রায় ১০ গুণ! এই প্রসঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফিন্য়ান্সিয়াল টাইমস।
🌸বলা হচ্ছে, চিনের এই নয়া স্থাপত্য নাকি এতটাই বড় যে তাকে 'বেজিং মিলিটারি সিটি' নামে অবিহিত করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই নির্মাণকাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সেই ছবি ধরা পড়েছে সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট ইমেজে।
🍰সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের দাবি অনুসারে, কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে উল্লেখিত প্রকল্প এলাকায়, যার আয়তন প্রায় ১,৫০০ একর, সেখানে অসংখ্য গভীর গর্ত দেখা গিয়েছে। ওই অঞ্চলটি চিনের রাজধানী বেজিং থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
🌳অনুমান করা হচ্ছে, বেজিং মিলিটারি সিটি-তে অসংখ্য বহুতল থাকবে এবং কয়েকশো বাঙ্কার থাকবে। যদি কখনও পরমাণু হামলার মতো ঘটনা ঘটে, বা যুদ্ধ বাধে, তখন নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে এইসব বাঙ্কারেই আশ্রয় নেবেন রাজনৈতিক কেষ্টুবিষ্টু ও শাসক শিবিরের লোকেরা।
💦নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিনা গবেষক জানিয়েছেন, ওই নির্মাণের আকার 'পেন্টাগনের আয়তনের অন্তত ১০ গুণ। যা শি জিনপিংয়ের আমেরিকাকে ছাপিয়ে যাওয়ার উচ্চাশার সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ'।
▨তিনি আরও জানান, 'এই ধরনের দুর্গ নির্মাণের একটাই কারণ থাকতে পারে। যা ধ্বংসের দিনগুলিতে চিনের ক্রমবর্ধমান এবং শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর জন্য বাঙ্কার হিসাবে কাজ করবে।'
꧅লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এই নির্মাণ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চিনা দূতাবাস। তাদের দাবি, তারা নাকি এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানে না!
🐓সূত্রের দাবি, ওই সম্ভাব্য প্রকল্প এলাকায় সামরিক কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। অথচ, ৪ (চার) কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই নির্মাণস্থলে ড্রোন ওড়ানো বা ছবি তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সতর্কবার্তাসূচক চিহ্ন লাগানো হয়েছে।
꧋সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকল্প এলাকার একটি ফটকে মোতায়েন থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়ে দেন, ভিতরে ঢোকা যাবে না। এবং তাঁরা প্রকল্প নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। এমনকী, প্রকল্প এলাকায় থাকা এক সুপারভাইজারও কোনও কথা না বলেই এলাকা ছেড়ে চলে যান।
𒊎বর্তমানে চিনের প্রধান কমান্ড সেন্টার অবস্থিত রয়েছে ওয়েস্টার্ন হিলসে। যা সম্ভাব্য নতুন প্রকল্প এলাকার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। কয়েক দশক আগে কোল্ড ওয়ারের সময় এটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
𒆙মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র চিন সংক্রান্ত বিশ্লেষণ শাখার প্রাক্তন প্রধান ডেনিস ওয়াইল্ডার এই প্রসঙ্গে বলেন, 'যা দাবি করা হচ্ছে, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে বুঝতে হবে, চিনের এই নয়া ভূগর্ভস্থ কমান্ড বাঙ্কার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ সেনার শীর্ষ নেতৃত্বের জন্যই নির্মাণ করা হচ্ছে। তার মানে চিন শুধুমাত্র বিশ্বমানের গতানুগতিক সেনাবাহিনী গড়েই ক্ষান্ত হবে না। তারা এক অতি আধুনিক সামরিক পারদর্শিতা অর্জন করার পথে এগিয়ে চলেছে।'