দল ছাড়লেন দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেতা কৈলাশ গেহলট। আম আদমি পার্টির একেবারে প্রাথমিক সদস্যপদও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এনিয়ে তিনি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিও♎য়ালকে জানিয়েছেন।
কী লিখেছেন তিনি চিঠিতে?
সেই পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, একাধিক অস্বস্তিদায়ক ও নানা ধরনের বিতর্ক দেখা দিচ্ছে। তার মধ্য়ে অন্য়তম হল শীসমহল। সেক্ষেত্রে আমরা কি আদৌ আম আদমি তা নিয়ে নানা ধরনের ধন্দ দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া আমরা যদি সবসময় দিল্লির সঙ্গে লড়াই করে যাই তাহলে দিল্লির প্রকৃত উন্নতি কোনও দিনই হবে না। সেক্ষেত্রে আমার কাছে আর কোনও অপশন নেই। সেকারণে পদত্যাগ করছি। আমি আম আদমি পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদও ছেড়ে দিচ্ছি।ꦿ লিখেছেন কৈলাশ।
দিল্লির পরিবহনমন্ত্রী ছিলেন তিনি। রবিবার তিনি আপের প্রাথমিক সদস্যপদও ছেড়ে দিলেন। তিনি পদত্যাগপত্রে আপের করা একাধিক প্রতিশ্রুতি যেগুলি এখনও পূরণ করা হয়নি সেগুলি উল্লেখ করেন। সেই পদত্যাগপত্র তিনি আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশীকে উল্লেখ করে লিখেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বিতর্কের কথা💖 উল্লেখ করেছেন তিনি।
সেই পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, প্রথমেই ধন্য়বাদ জানাচ্ছি দিল্লির এমএলএ ও মন্ত্রী হিসাবে সেবা করার সুযোগ আপনারা আমায় দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে আমি বলছি যে আম আদমি পার্টি নানারকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। ভেতর থেকেও একাধিক চ্য়ালেঞ্জ রয়েছে। আমাদের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা এমন জায়গায় গিয়েছে যে আমরা মানুষের কাজ করা থেকে বিরত থাকছি। একাধিক প্রতিশ্রুতিকে রক্ষা করা হচ্ছে না। উদাহরণ হিসাবে আমাদের যমুনা নদী। আমরা বলেছিলাম যে যমুনা নদীকে আমরা পরিস্কার নদীতে পরিণত করব। কিন্তু সেটা হয়নি। বরং যমুনা নদী বর্তমানে আর💛ও দুষিত একটি নদীতে পরিণত হয়েছে।
শীসমহলের মতো বিতর্কিত বিষয় হয়েছে এখন। সেক্ষেত্রে আমরা আর আদৌ আম আদমি রয়েছি কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আমরা সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে লড়াই করার তুলনায় কেবলমাত্র কিছু রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছি। এর জেরে আমরা দিল্লির মানুষকে সাধারণ পরিষেবাও দিতে পারছি না। এক্ষেত্রে দিল্লির আসল উন্নতি কিছুতেই হবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা দিল্লি সরকার কেবলমাত্র কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করার মানসিকতা না ছাড়বে। আমি দিল্লির মানুষের সেবা করার জন্য় এসেছিলাম। সেটা পারিনি। এখন দল থেকে সরে যাওয়া ছাড়া 🌊আর উপায় নেই। তবে এবার তিনি গেরুয়া শিবিরে যান কি না সেটাই দেখার।