এখনও ট্রেনের টিকিটে ছাড় চালু করা হচ্ছে না। যা করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনটাই জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।সংসদে লিখিত জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, ট্রেনের টিকিটে যে ছাড় দেওয়া হত, তা ফের চালু করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে আর্জি জানানো হয়েছে। তবে সেই ছাড় দেওয়ার নিয়ম পুনরায় চালু করার মতো পরিস্থিতি এখনও আসেনি। তিনি বলেন, ‘(করোনাভাইরাস) মহামারীর পরিস্থিতি এবং করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জেরে গত বছরের মার্চ থেকে সব শ্রেণির যাত্রীদের (বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রী চারটি শ্রেণি এবং রোগী ও পড়ুয়াদের ১১ শ্রেণি ছাড়া) টিকিটের উপর থেকে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছিল।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘সব ধরনের ছাড় ফের চালু করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে আর্জি এসেছে। বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তবে তা সম্ভবপর নয়।’ এমনিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আগে ৫৪ শ্রেণিতে ছাড় দিত রেল। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তা তুলে নেওয়া হয়। সম্প্রতি পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশের চন্দ্রশেখর গৌরের আরটিআইয়ের ভিত্তিতে ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৭,৮৫০,৬৬৮ প্রবীণ নাগরিক ভারতীয় রেলে যাতায়াত করেছেন। যাঁরা পুরো ভাড়া দিতে বাধ্য দিয়েছেন। অতীতে ট্রেনের টিকিট কাটার সময় পুরুষরা (প্রবীণ নাগরিক) ৪০ শতাংশ এবং মহিলারা (প্রবীণ নাগরিক) ৫০ শতাংশ ছাড় পেতেন। সেক্ষেত্রে পুরুষদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়সসীমা ছিল ৬০ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ছিল ৫৮। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ট্রেনে যাতায়াত কমানোর জন্য সেই ছাড় তুলে দেয় ভারতীয় রেল। ট্রেন পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও যা এখনও চালু করা হয়নি।