খাদ্যদ্রব্যের উচ্চমূল্যের কারণে নভেম্বরে ভারতের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শীঘ্রই সুদের হার কমাবে না বলেই মনে হচ্ছে।&nb⭕sp;
বার্ষিক খুচরো মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে নভেম্বরে ৫.৫৫ শতাংশ হয়েছে, যা এর আগের মাসে ছিল ৪.৮৭ শতাংশ। তবে রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের জরিপে 🙈এটি ৫.৭০% পূর্বাভাসের চেয়ে কম ছিল।
খাদ্য মূল্যস্ফীতি, যা সামগ্রিক কনজিউমার বাস্কেটের প্রা♌য় অর্ধেক, নভেম্বরে ৮.৭% ছিল, অক্টোবরে ৬.৬১% থেকে বেড়েছে। অর্থনীতিবিদের মতে, মূল মুদ্রাস্ফীতি, যা অস্থ﷽িতিশীল খাদ্য ও জ্বালানি মূল্যকে সরিয়ে হিসেব করা হয়, তা নভেম্বরে ৪.০৫ থেকে ৪.২%-এর মধ্যে রয়েছে যা অক্টোবরের থেকে কম। ভারত সরকার মূল মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করে না।
আইসিআরএ-র অদিতি নায়ার বলেন, খাদ্য ও পানীয় দ্রব্যের দাম বাড়ার কারণে এই উত্থান ঘটেছে, অন্য সমস্ত গোষ্ঠীর জন্য অক্🧸টোবরের তুলনায় নভেম্বরে কম বা অপরিবর্তিত মুদ্রাস্ফীতি।
খাদ্যদ্রব্যের উদ্বায়ী মূল্যের কারণে খুচরা মুদ্রাস্ফ𒁏ীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল (রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত✱্রার উপরে থাকায় এবং বৃদ্ধি শক্তিশালী থাকায় গত সপ্তাহে ব্যাংক টানা পঞ্চম বারের মতো পলিসি রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল।
♔গত বছরের একই সময়ের তুলনায় নভেম্বরে খাদ্যশস্যের দাম ১০.২৭ শতাংশ এবং শাকসবজির দাম ১৭.৭ শতাংশ বেড়েছে, ডালের দাম ২০.২৩ শতাংশ, মশলার দাম ২১.৫৫ শতাংশ এবং ফলের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় নভেম্বরে ১০.৯৫ শতাংশ বেড়েছে।
অক্টোবরে খাদ্যশস﷽্যের দাম বেড়েছে ১০.৬৫ শতাংশ, শাকসবজির🎃 দাম বেড়েছে ২.৭৯ শতাংশ, ডালের দাম বেড়েছে ১৮.৭৯ শতাংশ, মশলার দাম বেড়েছে ২২.৭৬ শতাংশ এবং ফলের দাম বেড়েছে ৯.৩৪ শতাংশ। প্রসঙ্গত, আরবিআই জানিয়েছে যে নভেম্বরের মতো ডিসেম্বরেও খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার অত্যন্ত চড়া থাকবে।
নভেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির হার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) উচ্চ সহনশীলতা ব্যান্ডের মধ্যে টানা তৃতীয় মাসে ২-৬% এর মধ্যে ছিল তবে দৃঢ়ভাবে ৪% লক্ষ্যমাত্রার উপরে ছিল। জুলাই মাসে 𝓀মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের ওপরে ওঠার পর থেকে ভারত মূল্যবৃদ্ধি কমাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। চাল, গম, চিনি ও পেঁয়াজ রফতানি ন♈িষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকার বলেছে যে তারা খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরও পদক্ষেপ নেবে বছরের প্রথমার্ধে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৭ শতাংশ।