আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন রেসিডেন্ট ডাক্তাররা। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের পর গতকাল সেই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা করে ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর'স অ্যাসোসিয়েশন। এই প্রসঙ্গে ফেডারেশন প্রধান অভিরাল মাথুর সংবাদসংস্থা এএনআই-কে জানান, তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে জেপি নড্ডা আশ্বাস দেন। আর তাই তাঁরা কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। (আরও পড়ুন: স্বচ্ছতার আশ্বাস দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? RG কর নিয়𝐆ে CBI-কে চিঠি🎀 চিকিৎসকদের)
এদিকে জয়েন্ট ফোরাম অফ ডক্টরস আজ রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। কেবলমাত্র সরকারি পরিষেবা নয়, বেসরকারি চেম্বারও বন্ধ রাখার ডাক দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার ভোর ৪টে থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করা হবে। আরজি করের জুনিয়র ও রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন যে তাদের আন্দোলন চলবে। তারা এই আন্দোলন থেকে সরছেন না। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, কোনওভাবেই চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে ন💮া । যে কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, জরুরি পরিষেবা বিভাগ 🌄এই আন্দোনলেন মধ্যেও খোলা আছে। সেখানে চিকিৎসকরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে ভিড় হাজার হাজার বাংলাদেশি হিন্দুর, BGB-র সাথে 🌄৮৩টি বৈঠক BSF-এ
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই অপরাধের নেপথ্যে একাধিক মাথা আছে🌸। আর প্রশাসনের দিকেও প্রথম থেকে আঙুল উঠেছে এই ঘটনায়। এই আবহে সরাসরি আন্দোলনে নেমেছেন আরজি করের চিকিৎসক এবং পড়ুয়ারা। এতে চাপে পড়েছে সরকার। আর তাই 'নৈতিক ভাবে' আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েও চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আর্জি জানান রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। গতকাল স্বাস্থ্য ভবনে এক প্রেস মিটে বিবৃতি পাঠ করে এই আর্জি জানান তিনি। তবে কাগজে লেখা শব্দ পড়া ছাড়া সেদিন আর সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি নারায়ণস্বরূপ নিগ𒁏ম।
আরও পড়ুন: ব꧟াতিল ১৫ অগস্টের ছুটি, মুজিবের ইতিহাস মুছতে মরিয়া ইউনুসের বাংলাদেশ!
গতকাল নারায়ণস্বরূপ বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী নিহত চিকিৎসকের বাড়ি গিয়ে উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। অপরাধী ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। যে কোনও তদন্তে এটা মনে হয় সবচেয়ে দ্রুত গ্রেফতার। আরজি কর হাসপাতালে যা হয়েছে তার কঠোর নিন্দা করছি। এই ধরনের ঘটনা কোনও হাসপাতালে যাতে আর না ঘটে, সেটি নিশ্চিত করাটাই আমাদের এখন প্রধান লক্ষ্য। আর রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখাও আম🍬াদের কর্তব্য। আমরা যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করছি। কিন্তু রোগীদের কথা ভেবে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে। দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। আ🅠মরা অনুরোধ করব, আপনারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করুন আর নিজ নিজ কাজে যোগ দিন।'