রুশ সেনাবাহিনীতে ভারতীয়দের নিয়োগ নিয়ে কড়া মনোভাব দেখিয়েছিল ভারত। কোনওভাবেই যেন ভারতীয়দের সেদেশের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ না করা হয় সে বিষয়ে রাশিয়াকে কড়া বার্তা দিয়েছিল নয়া দিল্লি। তারপরেই ১৫ জন ভারতীয়দের মুক্তি দিল রাশিয়া। এর মধ্যে ৪ জন রয়েছেন পঞ্জাবের বাসিন্দা। রাজ্যসভার সাংসদ বিক্রমজিৎ সিং সাহনি স𝓰োমবার 𒁏একথা জানিয়েছন।
আরও পড়ুন: পতন ♌ইউক্রেনের হাতে শেষে গুরুত্বপূরඣ্ণ শহর লুহানস্কের, দখল করল রাশিয়ার বাহিনী
সাংসদ জানান, যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বর্তমানে তাঁদের বেশিরভাগই রাশিয়ার একটি হস্টেলে ছিলেন।♈ বিক্রমজিতের দাবি, মোট ৯১ জন জন ভারতীয় নাগরিককে নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হয়েছিল। মূলত ইউক্রেনের সঙ্গে তাঁদের ব্যবহার করার জন্য তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৮ জন নিহত হিয়েছিলেন। বাকি ৬৯ জনের চুক্তি বাতিল করার প্রক্রিয়া চলছে। তাঁরাও দ্রুত দেশে ফিরবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।তাঁদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে সাংসদ জানান।
উল্লেখ্য, মার্চ থেকেই রাশিয়ার ভারতীয় দূতাবাস এবং নয়াদিল্লিতে রুশ দূতাবাসের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রাশিয়া সফরের সময় রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বিষয়🍌টি নিয়ে আলোচনা করেন।এর আগে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, রাশিয়া তাদের সেনাবাহিনীতে ভারতীয়দের নিয়োগ বন্ধ যেন না করে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তার সঙ্গে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এর পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকদেরও এব্যাপারে সতর্ক করা হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে বিদেশমন্ত্রক জানায়, ২০ জন ভারতীয় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সেই সমস্ত ভারতীয়রা দেশে ফিরে আসতে চেয়েছেন। এরপরেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সব রকমের চেষ্টা করা হয়। জানা যাচ্ছে, রাশিয়ায় যে সমস্ত ভারতীয়কে সেনাবাহিনীতে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের দুবাই ভিত্তিক একটি সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছিল এবং ইউটিউবের মাধ্যমে তাদের প্রলোভন দেখানো হয়💎েছিল। সেক্ষেত্রে একবার তারা রাশিয়া পৌঁছে গেলে তাদের সেখানে নথিতে স্বাক্ষর করিয়ে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর আগে ১৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।