গত সপ্তাহে একদিনের জন্য ঝড় বয়ে গিয়েছিল রাশিয়ায়। ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়ে মস্কোর দিকে যাত্রা শুরু করেছিল ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের নেতৃত্বাধীন ভাড়াটে সেনা। দু'টি শহর দখলও করে নিয়েছিল এই ওয়াগনার গোষ্ঠী। এরপর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে পুতিন বলেছিলেন, 'অভ্যুত্থানের নেপথ্যে থাকা বিদ্রোহীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে'। তবে রাতের দিকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকসান্ডর লুকেশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহের আগুনে জল পড়ে। রাশিয়া ছেড়ে ইয়েভজেনি ও তাঁর ভাড়াটে সেনারা বেলারুশে গিয়ে ঢোকেন। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, কোন গোপন চুক্তিতে এই বিদ্রোহ শেষ হয়ে গেল? বলা হচ্ছিল, ইয়েভজেনি এবং ওয়াগনার গোষ্ঠীর সꦚৈন্যদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও তখন সেটা মানতে চায়নি রুশ সরকার। তবে আজকে এফএসবি জানিয়ে দিল, ওয়াগনার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা হবে না।
এর আগে বিদ্রোহ চলাকালীন জাতির উদ্দেশে ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, 'রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিলে শাস্তি হবে।' এরপর একদা পুতিন ঘনিষ্ঠ ইয়েভজꦆেনি প্রিগোজিন বলেন, 'রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভুল করলেন। শীঘ্রই রাশিয়া নয়া প্রেসিডেন্ট পেতে চলেছে।' তবে অবশেষে ক্ষণিকের এই অভ্যুত্থান শেষ হয় শনির রাতেই।
এদিকে কেন শুরু হয়েছিল এই যুদ্ধ? ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান অভিযোগ করেন, তাঁর সৈনিকদের ক্যাম্পের ওপর ভয়াবহ মিসাইল হামলা চালায় রুশ সেনা। এতে তাঁর অনেক সৈনিক মারা যায়। এই আবহে ইয়েভজেনি দাবি করেন, তাঁর গোষ্ঠীর মোট ২৫ হাজার সৈনিক রয়েছে। তারা রুশ সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে। এদিকে মিসাইল হামলার অܫভিযোগ অস্বীকার করে রুশ সেনা। উল্লেখ্য, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় রাশিয়ার হয়ে ছায়া যুদ্ধের জন্য পুতিন বিগত বছরগুলিতে আস্থা রেখে এসেছেন ইয়েভজেনির সামরিক গোষ্ঠীর ওপর। তবে এখন এই ওয়াগনার গোষ্ঠীই সরাসরি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং অন্যান্য সামরিক নেতৃত্বের 'মাথা' চ✤াইতে শুরু করে।
এরপর শনিবার বেলা গড়াতেই দক্ষিণ রাশিয়ার রস্টভ-অন-ডনে প্রব🤡েশ করে। পরে আরও একটি শহরের দখল নেয় তারা। পরে শনিবার রাতের দিকে ইয়েভজেনি প্রিগোজিন ঘোষণা করেন, মস্কোর ২০০ কিলোমিটার আগে থেকেই পিছু হটে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, রাশিয়ান রক্ত যাতে না ঝরে, তা♏ই এই পদক্ষেপ। পরে গতকাল তিনি দাবি করেন, রুশ সরকারকে ফেলতে তিনি এই অভ্যুত্থান শুরু করেননি। তবে তখনও ওয়াগনার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করেনি রুশ প্রশাসন। আজ শেষ পর্যন্ত মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা করল এফএসবি।