শনিবারই গভীর রাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। এরই মধ্যে আজ রটে যায় যে আন্দোলন ছাড়ছেন সাক্ষীরা। রꦑেলের চাকরিতে যোগ দেন কুস্তিগিররা। এই আবহে আন্দোলন ত্যাগের জল্পনা তৈরি হয়। প🌊রে টুইট করে অলিম্পিক পদকজয়ী সাক্ষা জানান, সরকারি চাকরি করতে করতেই তাদের আন্দোলন জারি রাখবেন তাঁরা। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, আন্দোলনের থেকে তিনি নাম প্রত্যাহার করেননি। তিনি এই ধরনের রিপোর্টকে ভুয়ো আখ্যা দেন। টুইট বার্তায় সাক্ষী লেখেন, 'এই খবর সম্পূর্ণ ভুল। ন্যায়ের লড়াইয়ে আমরা কেউ পিছপা হইনি, হবোও না। সত্যাগ্রহের পাশাপাশি রেলে দায়িত্ব পালন করছি। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। দয়া করে কোনও ভুল খবর ছড়াবেন না।'
সম্প্রতি হরিদ্বারে গিয়ে গঙ্গায় সব মেডেল ভাসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাটরা। তবে শেষ পর্যন্ত কৃষক নেতাদের অনুরোধে গঙ্গায় আর মেডেল ভাসাননি তাঁরা। এরই মধ্যে শনিবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শ✱াহের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। এমনই দাবি কর𝓰া হচ্ছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক রিপোর্টে। জানা যায়, কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে পুলিশি পদক্ষেপের দাবি জানান তাঁরা। ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে আগাম চার্জশিট দাখিলেরও আর্জি জানান। যদিও এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি বৈঠকে থাকা কুস্তিগিররা।
এর আগে ২৮ মে শীর্ষ কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক এবং ভিনেশ ফোগাটদের যন্তর মন্তর বিক্ষোভের স্থান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তার আগে ২৭ মে সংসদ অভিযান ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছিল মেডেলজয়ী কুস্তিগিরদের। আটক করা হয়েছিল সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়াদের। এরপর ৩০ মে মেডেল ভাসিয়ে দিতে হরিদ্বারে গিয়েছিলেন কুস্তিগিররা। এরপর ৪ জুন পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এই ঘটনায় পদক্ষেপ করার জন্য। এদিকে এরই মাঝে ৩১ মে রেলের অফিসে গিয়ে কাজে যোগ দেন সাক্ষী মালিক। তিনি ওএসডি পদে আছেন। এদিকে বজরং পুনিয়া এবং ভিনেশও রেলে চাকরি করেন। জানা গিয়েছে, কুস্তিগিররা আন্দোলনের জন্য ৩৬ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন রেলের থেকে।🎐 এদিকে কুস্তিগিরা কাজে যোগ দেওয়ায় তাদের আন্দোলনের ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা দেখা দিয়েছিল। তবে সাক্ষী জানিয়ে দিলেন, চাকরিতে যোগ দিলেও কোনও ভাবেই আন্দোলন থেকে সরছেন না তাঁরা।