সন্দেশখালি থেকে সম্প্রতি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল এনএসজি তল্লাশিতে। সিবিআই-এর তদন্তের ভিত্তিতেই সেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। এরপরই এই তল্লাশি অভিযান নিয়ে 'সন্দেহ' প্রকাশ করে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দেশখালিতে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে ভোটের মাঝে সন্দেশখালি কাণ্ডে স্বস্তি পেল না রাজ্যের শাসকদল। রাজ্যের দায়ের করা মামলার শুনানি আপাতত স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত। ফের জুলাইতে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে এই সময়কালে সিবিআই-এর তদন্তপ্রক্রিয়া ব্যাহত করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতিরা। এই আবহে ভোটের সময়তে সন্দেশখালি তদন্তের ভার সিবিআই-এর কাঁধেই থাকছে। ভোটের ফল প্রকাশের প্রায় ১ মাস পরে এই মামলার শুনানি হবে ফের। দুই বিচারপতির বেঞ্চ এও স্পষ্ট করে দেন, সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন আছে বলে হাই কোর্টে চলতে থাকা মামলায় কোনও বাধা দেওয়া দিতে পারবে না রাজ্য সরকার। (আরও পড়ুন: হাওড়াগাম෴ী ট্রেনের ব্রেকে যান্ত্রিক গোলযোগ, কালো 🎀ধোঁয়ায় চরম আতঙ্কিত যাত্রীরা)
আরও পড়ুন: মমতাকে 'ওই মেয়েছেলে' বলে বিতর্কে দিলীপ ঘোষ, 'জবাব দেবে বাংলা', পালটা তোপ🅠 TMC-র
উল্লেখ্য, আজ মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরকারের তরফের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি শীর্ষ আদালতে দাবি করেন, এই মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং নথি রাজ্যের হাতে এসেছে। সেই তথ্য আদালতে পেশ করার জন্যে ২ থেকে ৩ সপ্তাহের জন্য সময় চেয়েছিলেন তিনি। এই সময়কালের জন্য মামলা মুলতুবি রাখার প্রস্তাব দেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এই আবহে বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন মামলার শুন﷽ানি প্রায় ২ মাস পিছিয়ে দেন। এরই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ করে, এই মামলায় মহিলাদের উপর নির্যাতন, জমি জবরদখল করার মতো গুরুতপ অভিযোগ রয়েছে। তাই সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন থাকার জেরে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত করা যাবে না। তা যেমন চলছিল, চলবে।
আরও পড়ুন: দেবগৌড়ার পৌত্রের 'সেক্স ভিডিয়ো' কাণ্ডে দায় ঝাড়লেন কুমারস্বা🍰মী, কী বলছে BJP?
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালেই সন্♑দেশখালিতে আবার হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেদিন শাহজাহান শেখের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সরবেড়িয়ার এক স্থানীয় নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। সেই ঘটনায় এনএসজি বিশেষ রোবোটের সাহায্যে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। আর সেই তল্লাশির কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে দ𓆏্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস। কমিশনকে লেখা চিঠিতে ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, সিবিআই এবং এনএসজি-র সঙ্গে বিজেপি ষড়যন্ত্র করেছে। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, নির্বাচনের সময় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল সন্দেশখালিতে। চিঠিতে এও লেখা হয়, তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত প্রক্রিয়ার সময় এই অস্ত্রগুলি সত্যিই উদ্ধার করা হয়েছিল কিনা বা সেগুলি সিবিআই বা এনএসজি গোপনে রেখেছিল কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানার কোনও উপায় নেই। পরে মমতার গলাতেও একই সুর শোনা গিয়েছিল। তবে এই সবের মাঝে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, সন্দেশখালিতে আপাতত তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই।