রাঁচি থেকে হাওড়ার উদ্দেশে আজ সকালে যাত্রা শুরু করেছিল ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। তবে ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই ট্রেনের একটি কামরা থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখতে পান যাত্রীরা। এরপরই চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে একাধিকবার ট্রেনে আগুন ধরার ঘটনা ঘটেছে দেশে। এই আবহে সোমবার সকালেও যাত্রীদের মনে শঙ্কা দেখা দেয়, ট্রেনে কি তবে আগুন লাগল? এই তড়িঘড়ি ট্রেন থামিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। রেলকর্মীরা পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। আতঙ্কিত যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে রেললাইনেই দাঁড়িয়ে পড়েন। পরে অবশ্য দেখা যায়, আগুন লাগেনি। তবে ব্রেকে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এই ধোঁয়া উঠতে শুরু করেছিল। (আরও পড়ুন: হাওড়া ও মালদা থেকে এই ২ রুটে চালু হতে পারে🍷 বন্দে ভারত মেট্রো, ব꧟ড় দাবি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: গুজরাট 🥃উপকূলে আটক পাক বোট, চোখ কপালে উঠল তল্লাশিতে, মিলল ৬০০ কোটির মাদক
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাঁচি থেকে রওনা দেওয়া হাওড়াগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের বি-টু কামরা থেকে এই ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল আজ সকাল ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ। ট্রেনটি যখন ঝাড়খণ্ডের জনহা স্টেশনের কাছে, তখন যাত্রীদের নজরে আসে সেই ধোঁয়া। পরে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়, ব্রেকে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই ধোঁয়া বেরিয়েছিল। ট্রেনে বা কোনও যন্ত্রাংশে কোনও আগুন লাগেনি। এদিকে এই ঘটনায় কোনও যাত্রী আহত হননি বলেও জানানো হয় রেলের তরফ থেকে। (আরও পড়ুন: 'মুসলিমরাই সবথেকে বেশি কন্ডোম🎶 ব্যবহার করে', জনসংখ্যা বিতর্কে ꦛমোদীকে জবাব ওয়াইসির)
আরও পড়ুন: ভাইরাল যৌন ভিডিয়ো কাণ্ডে প্রাক্তন প্রধানমন্﷽ত্রীর ছেলে ও পৌত্রের নামে দায়ꦅের FIR
🍰উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত মার্চ মাসে দানাপুর থেকে লোকমান্য তিলক যাওয়ার পথে দানাপুর-এলটিটি স্পেশাল ট্রেনের একটি এসি বগিতে হঠাৎ আগুন ধরে গিয়েছিল। এর আগে দিল্লি থেকে দারভাঙাগামী এক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছিল গত নভেম্বরে। উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ায় সেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে আহত হয়েছিলেন ১০ জন যাত্রী। সেই দুর্ঘটনার ১০ ঘণ্🌞টা যেতে না যেতেই আরও একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের স্লিপার কোচে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ইটাওয়ারই মৈনপুরী জংশনে। গভীর রাতে নয়াদিল্লি থেকে বিহারগামী ১২৫৫৪ বৈশালী এক্সপ্রেসের এস৬ নং কামরায় আগুন লেগে গিয়েছিল। সেই সময় অনেক যাত্রীই ঘুমোচ্ছিলেন। সেই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ১৯ জন যাত্রী।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর পাতালকোট এক্সপ্রেসের কামরায় ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। আগ্রা থেকে ঢোলপুরের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। এদিকে গত অগস্টে তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে একটি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই ঘটনায় অন্তত ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। এর আগে একই দিনে বেঙ্গালুরু এবং গোয়ালিয়রে দু'টি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। বেঙ্গালুরুর ঘটনায় উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন এবং বি১ ও বি২ কোচ দু'টিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। তবে দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এর আগে সম্প্রতি আপ কল্যাণী সীমান্ত লোকাল থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। ঘটনার জেরে পꦚ্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ট্রেন স্টেশনেই দাঁড়িয়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লাগে। এদিকে গত জুলাই মাসেই আবার একটি বন্দে ভারত ট্রেনে আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ জুলাই ভোরে মধ্যপ্রদেশের কুরওয়াই কেথোরা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে। ভোপাল থেকে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন টার্মিনালে যাচ্ছিল সেই ট্রেনটি। ট্রেনের সি১২ কোচের নীচে আগুন লাগে। তবে সেই ঘটনাতেও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে এরও আগে সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনুমা এক্সপ্রেসের একটি এসি কামরায় আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সেই ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছেড়ে গিয়েছিল। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়।