পাকিস্তানের অর্থনীতি যে কতটা বেহাল, তা সাম্প্রতিক একটি ঘটনা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গ♓িয়েছে। যার জন্য সৌদি আরব প্রশাসনের কাছে রীতিমতো ধমক খেতে হয়েছে ইসলামাবাদকে! 'আরব দেশের শেখ'রা আমাদের পড়শি রাষ্ট্রের প্রশাসনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা যদি নিজেদের সংশোধন না করে, তাহলে কপালে দুঃখ আছে!
ঘটনাটা ঠিক কী?
ইদানীংকালে সৌদি আরবে ভিক্ষুকদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তথ্য তলাশ করে দেখা গিয়েছে, ওই ভিক্ষুকরা আদতে ভিনদেশি, মূলত পাকিস্তানি। তাঁরা সৌদি আর🐈বে ঢুকেছিলেন পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে! কিন্তু, তারপর আর নিজেদের দেশে ফিরে যানননি। সৌদি আরবেই থেকে গিয়েছেন ভিক্ষা করে রোজগারের আশায়!
পাক💎িস্তানিদের একাংশের এহেন আচরণে বেজায় খাপ্পা সৌদি আরব প্রশাসন। তাদের অভিযোগ, এই পাকিস্তানি ভিক্ষুকরা সকলেই 'ওমরাহ ভিসা' নিয়ে তাদের দেশে ঢুকেছিলেন।
কী এই ওমরাহ ভিসা?
সৌদি আরবে যে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় আচার পালন করতে যান, শুধুমাত্র তাঁদের এই ওমরাহ ভিসা দেওয়া হয়। এই ভিসা নিয়েই সেদেশে যান হজযাত্রীরা। কিন্তু, পাকিস্তানিদের একাংশ❀ তার অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ।
সৌদি আরবের তরဣফ থেকে ইতিমধ্যেই পাক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, তারা যদি এই ধরনের আচরণে রাশ টানতে কোনও পদক্ষেপ না করে, তাহলে আগামী দিনে পাকিস্তানের নাগরিকদের ওমরাহ ভিসা দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখবে সৌদি প্রশাসন।
পিটিআই সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবের হজ সংক্রান্ত মন্ত্রকের তরফে ইসালামাবাদের কাছে সরকারিভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে꧂। সৌদি আরবের আধিকারিকদের আশঙ্কা, এক শ্রেণির মানুষের জন্য সামগ্রিকভাবে পাকিস্তানি তীর্থযাত্রীদের নিয়ে সেদেশে বিরূপ মানসিকতা তৈরি হবে।
এবার পাকিস্তান কী করবে?
সংবাদ সংস্থা সꦡূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, এই ঘটনায় বেজায় ফাঁপড়ে পড়েছে পাক প্রশাসন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়া আইন প্রণয়ন করার কথা ভাবছে পাকিস্তানের ধর্মীয় বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রক। নয়া আইনের নাম রাখা হতে পারে, 'ওমরাহ আইন'। তথ্য বলছে, এই আইন প্রয়োগ করে নাগরিকদের ওমরাহ যাত্রার উপর প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ কায়েম করবে পাক প্রশাসন।
আরও শোনা যাচ্ছে, এই গোটা ঘটনা💮য় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি স্বয়ং সেদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত নওয়াফ বিন সইদ আহমেদ আল-মলকিকে আশ্বস্ত করেছেন। সৌদি রাষ্ট্রদূতকে তিনি জানিয়েছেন, সমস্যা সমাধানে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। এবং এই ধরনের অনিয়ম রুখতে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)-কে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরও এইরকমই একটি বিষয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অনাবাসী পাকিস্তানিদের সংগঠনের সম্পাদক আরশাদ মেহমুদ। তাঁ♚র অভিযোগ ছিল, ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে এক শ্রেণির পাকিস্তানিদের আচরণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার ও প্রশাসন ক্ষুব্ধ।
বিশেষ করেಌ ওই পাকিস্তানিদের আচার-আচরণ, তাঁদের ব্যবহার এবং ব🃏িভিন্ন অপরাধের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ অত্যন্ত উদ্বেগের বলে জানিয়েছিলেন আরশাদ।