কমবয়🧸সী মেয়েদের যৌন চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করার ব্য়াপারে পরামর্শ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে কলকাতা হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণের ব্য়াপারে যথেষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের এই মন্তব্যকে আপত্তিকর ও অপ্রত্যাশিত বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আসলে যৌন হেনস্থার একটা মা🉐মলায় হাইকোর্টের এই ধরনের পর্যবেক্ষণে আপত্তি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে আদালতের বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্য়ক্তিগত মনেಞাভাবকে ব্যক্ত করবেন না। ব্যক্তিগত কোনও ধারণা এর মধ্য়ে আনবেন না বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি অভ🍸য় এস ওকা ও পঙ্কজ মিত্তল জানিয়েছেন, এই ধরনের মন্তব্য সংবিধানের ২১ ধারার পরিপন্থী। পিটিআই সূত্রে খবর।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া দরকার যে বিচারপতিরা যেন তাঁদের ব্যক্তিগত মনোভাবকে ব্যক্ত করতে না পারেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকꦅেও এনিয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
সিনিয়র অ্য়াডভোকেট মাধবী দিভানকে এব্যাপারে সহায়তা করার জন꧂্য বলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট গত ১৮ অক্টোবর এই পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করেছিল। তারপরই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এনিয়ে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট।
কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে ঠিক কী ঘটনা হয়েছিল?
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পকসো আইনের এনিয়ে নির্দেশ দেওয়ার সময় তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, বয়ঃসন্ধিকালে বিপরীত লিঙ্গের সাহচর্য্য পাওয়ার ইচ্ছাটা থাকা স্বাভাবিক কিন্তু ♔কিন্তু কোনও অঙ্গীকার ছাড়া যৌন কাজে লিপ্ত হওয়াটা স্বাভাবিক নয়। সেই সঙ্গেই সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, বয়সন্ধিকালে প🎶্রতিটি মেয়েকে তার যৌন ইচ্ছা সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত কারণ দুমিনিটের যৌন আনন্দের জন্য তিনি সমাজের চোখে খারাপ হয়ে যেতে পারেন।
সেই সঙ্গেই বিচারপতিরা জানিয়েছেন෴, তরুণীরা তাঁদের আত্ম মর্যাদায় বলীয়ান হতে হ♑বে।
এখানেই শেষ নয়, বয়ঃসন্ধিকালে পুরুষদের জন্য হাইকোর্টের পরামর্শ ছিল, তাদের উচিত তাদের মনকে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করা যাতে তাঁরা মহিলাদের শ্রদ্ধা জানাতে পারেন, তাঁদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে রক্ষাকে সম্মান জানাতে পারেন। আসলে একটা ধর্ষণের মামলায় এক ব্য়ক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। 🍎তার বিরুদ্ধেই আবেদন করেছিলেন এক তরুণী। আর সেই মামলার পর্যবেক্ষণেই উপরের কথাগুলি বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু বিষয়টিকে একেবারেই ভালো চোখে দেখেনি সুপ্রিম কোর্ট।